পুলিশে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, দুই পুলিশকে বরখাস্ত

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ১২ মে , ২০২৪ ০৮:৩২ আপডেট: ১২ মে , ২০২৪ ০৮:৩২ এএম
পুলিশে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, দুই পুলিশকে বরখাস্ত
মাদারীপুরে পুলিশে চাকুরি দেয়া প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে পুলিশে চাকুরি দেয়া প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে সেই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শনিববার (১১ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও জেলা পুলিশ একটি প্রেসবিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাদারীপুরে পুলিশে চাকুরি দেয়া প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে পুলিশে চাকুরি দেয়া প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে সেই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শনিববার (১১ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও জেলা পুলিশ একটি প্রেসবিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেয়াড় প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ করেন তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল। এই ঘটনায় শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাস একটি দোকানে কাজ করার সময়ে সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সাথে। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করেছেন। তানজিলা আক্তারের নামে কমিউনিটি ব্যাংকের চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ ছিল। এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার পর রেজাল্ট বেরুলে সেখানে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না দেখে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।

চাকুরি প্রত্যাশী রতন দাস বলেন, আমাকে পুলিশে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকুরি দিতে পারেনি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলা স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা করছে। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না।

এই ঘুষ নেওয়ার সাথে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত।এব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান ফকির বরখান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংবাদ প্রকাশের পর সিনিয়র স্যারদের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo