পরকিয়ার জেরে কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন

মোঃ মোজাহারুল ইসলাম প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১১:৩৭ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১১:৩৭ এএম
পরকিয়ার জেরে কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন
প্রায় চার মাস পর নওগাঁর পোরশা উপজেলার সোমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মোকসেদ আলী(৫০) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ২০ ফেবরুয়ারী ২০২৪ইং দুপুর ১২টায় উপজেলার সোমনগর {দেউপুরা) গ্রামের কবর স্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় এ্যক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। জানাগেছে, অফিস সহায়ক মোকসেদ আলী পিতা-নুর- মোহাম্মাদ গ্রাম-দেউপুরা গত বছরের ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে মারা যান।

প্রায় চার মাস পর নওগাঁর পোরশা উপজেলার সোমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মোকসেদ আলী(৫০) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ২০ ফেবরুয়ারী ২০২৪ইং দুপুর ১২টায় উপজেলার সোমনগর {দেউপুরা) গ্রামের কবর স্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় এ্যক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। জানাগেছে, অফিস সহায়ক মোকসেদ আলী পিতা-নুর- মোহাম্মাদ গ্রাম-দেউপুরা গত বছরের ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে মারা যান।

স্ট্রোকজনিত কারনে মোকসেদের মৃত্যু হয়েছে বলে তার স্ত্রী প্রকাশ করেন। সে কারনে পরের দিন মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পরে সোমনগর মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়েছিল। এর কিছুদিন পরে লোক মুখে তার স্ত্রীর পরকিয়ার কাহিনী জানাজানি হলে তার বোন সাপাহার উপজেলার মামুরিয়া গ্রামের শফিউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম তার ভাইয়ের মৃত্যুকে স্বাভাবিক নয় দাবি করে নওগাঁ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোকসেদ আলীর স্ত্রী আমেনা জান্নাতুন (৩২) ও একই গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০)কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় থানা পুলিশ মিজানুর রহমান এবং ঔ গ্রামের লোকমানের ছেলে রহমত আলীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং মোকসেদের স্ত্রী আমেনা জান্নাতুন আদালতে সত্যতা স্বীকার করে আত্মসমর্পন করেন। আদালতে মামলার শুনানি শেষে আদালত মোকসেদ আলীর লাশ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।

ফলে ম্যাজেস্ট্রিটের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। থানা সূত্রে জানা যায় যে, আমেনা জান্নাতুনের সাথে মিজানুর রহমানের দীর্ঘ দিনের পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরী হয় এক পর্যায়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন। তার স্বামী এ বিয়ের প্রতিবন্ধকতা মনে করে পরে উল্লেখিত তিন জন আসামী মিলে মোকসেদকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেদিন ঐ গ্রামে মাদারের গানের অনুষ্ঠান হচ্ছিল মানুষ সবায় ব্যস্ত ছিল। বাড়িতে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই ছিল এবং ফোনে স্ত্রী উক্ত আসামীদ্বয়কে ডাকেন। এ সুযোগে ০৭/১১/২০২৩ রাত অনুঃ১২টা পরিকল্পনা মাফিক তার স্ত্রীর মাধ্যমে রহমত আলীর সহযোগীতায় প্রথমে একাধিক ঘুমের ট্যাবলেট দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ান তাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে আবারো একাধিক একই ট্যাবলেট স্যালাইনের সাথে মিশিয়ে খাওয়ান তাকে। তাতেও মৃত্যু নিশ্চিতে সন্দেহ হলে স্ত্রী ও রহমত আলী হাত পা চেপে ধরেন এবং মিজানুর রহমান মুখে বালিশ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন । সাপাহার সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার এমএম সবুজ রানা, তদত্ত কারী অফিসার ফারুক ও থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান সহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ এলাকার উৎসুক জনতা লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তে নওগাঁ মর্গে পাঠানো পর্যন্ত ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo