পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মানবিক সংগঠন সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে হাজী চাঁন্দ আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের সন্মানিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গয়াছ মিয়া গিয়াস এর অর্থায়নে মঙ্গলবার ১৮ জুন সিলেটের মোগলাবাজারস্থ রাঘবপুর এলাকার অসহায় দুঃস্থ যাঁরা কোরবানি দিতে অক্ষম ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) পরিবারে মাঝে কোরবানি গোশত বিতরণ করা হয়।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মানবিক সংগঠন সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে হাজী চাঁন্দ আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের সন্মানিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গয়াছ মিয়া গিয়াস এর অর্থায়নে মঙ্গলবার ১৮ জুন সিলেটের মোগলাবাজারস্থ রাঘবপুর এলাকার অসহায় দুঃস্থ যাঁরা কোরবানি দিতে অক্ষম ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) পরিবারে মাঝে কোরবানি গোশত বিতরণ করা হয়।
উক্ত মানবিক কার্যক্রম এর শুভ উদ্বোধন করেন সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম।
মানবিক কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুল মালেক, মানবিক উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ এর মহাসচিব উৎফল বড়ুয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ নজমুল হোসেন মুন্না, মোঃ রফিকুল ইসলাম রুবেল, মোছাঃ সুলতানা জান্নাত, মোছাঃ জোৎস্না আক্তার জুই, কয়েছ আহমদ, ফয়ছল আহমদ, হেলেন বেগম, মোঃ হাদিউল ইসলাম শাহরিয়ার, সীমান্ত বড়ুয়া জয় প্রমুখ।
মানবিক কাজে সকলের উদ্দেশ্যে উপস্থিত বক্তারা বলেন,ভোগে নয়, ত্যাগেই হোক ঈদের শিক্ষা। ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দ ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে সর্বজনীন করার বার্তা দিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। আর ঈদুল আজহা মানেই ত্যাগের উৎসর্গ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি করে তার মনের পরিশুদ্ধিতা অর্জন করবেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছি, যাতে তারা ওই পশুদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। আর তোমাদের প্রতিপালক তো এক আল্লাহই, তোমরা তারই অনুগত হও। (সুরা হজ : ৩৪)
পশু কোরবানি মানুষের মনে আত্মত্যাগের শিক্ষাকে প্রোথিত করে মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে। এটা শুধু উৎসব না, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করার একটি মেলবন্ধন। এটি সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যকে এক কাতারে নিয়ে আসে।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সমাজে অস্থিরতা, ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা থেকে মুক্তির দিশারী হতে পারে পশু কোরবানি। অনেক শিক্ষা দিতে পারে। ঈদের দিন একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়। এই শিক্ষা যদি সারা বছর জাগ্রত রাখতে পারি তবেই মানবতা মুক্তি মিলবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে ভ্রাতৃত্ববোধ ও জাতীয় ঐক্য গড়া শিক্ষা হতে পারে ঈদে পশু কোরবানি। তাই সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান সকলে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অসহায় দু:স্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান, আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর সুবাদে তাঁরাও পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ পরিবারের সবাইকে নিয়ে স্বানন্দে উপভোগ করুক।