পটুয়াখালীতে ধর্ষনের শিকার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

এম আমির হোসাইন প্রকাশিত: ১৮ মার্চ , ২০২৪ ০৯:১৮ আপডেট: ১৮ মার্চ , ২০২৪ ০৩:২০ এএম
পটুয়াখালীতে ধর্ষনের শিকার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ৮ মাসের  অন্তঃসত্ত্বা
পটুয়াখালীর দুমকিতে পর্ণোভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এখন ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।সাংবাদিকদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে সাদিয়া (১২) নামে ওই অসহায় অন্তঃস্বত্ত্বা কিশোরী তার অনাগত সন্তানের পিতার স্বীকৃতিসহ আইনি সহায়তার মাধ্যমে ঘটনার বিচার দাবী করেছে।

পটুয়াখালীর দুমকিতে পর্ণোভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এখন ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।সাংবাদিকদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে সাদিয়া (১২) নামে ওই অসহায় অন্তঃস্বত্ত্বা কিশোরী তার অনাগত সন্তানের পিতার স্বীকৃতিসহ আইনি সহায়তার মাধ্যমে ঘটনার বিচার দাবী করেছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পিতা কবির খন্দকার বাদী হয়ে প্রতিবেশী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামের বারেক খন্দকারের ছেলে ৩ সন্তানের জনক দুলাল খন্দকারের (৩৮) বিরুদ্ধে রোববার থানায় মামলা করেছেন। ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত দুলাল গা ঢাকা দিয়েছে।

থানার এজাহার ও ভুক্তভোগী কিশোরী ”দুমকি নাসিমা কেরামত আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের”৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার সাংবাদিকদের কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানা যায়,সাদিয়া বাবা একজন অটোচালক। সারাদিন অটো চালিয়ে গভীর রাতে ঘরে ফিরে। ১২ বছর পূর্বে সাদিয়ার মাকে তালাক দেয় বাবা কবির খন্দকার। বাড়িতে সাদিয়ার বৃদ্ধ দাদী ও সাদিয়া ছাড়া কেউ নেই। অভিযুক্ত প্রতিবেশী দুলাল প্রায় রাতেই জাল ও টেটা দিয়ে মাছ ধরতে তাদের বাড়ি আসতো। সাদিয়াকে একা পড়তে দেখে দুলালের লালশা জাগে। বিভিন্ন ছলছুতায় প্রায়ই সাদিয়ার বাসার আশেপাশে ঘুরঘুর করতো। রাতে মাছ শিকার করতে এসে মোবাইলে সিনেমার ছবি চালু করে দিয়ে যেত। সাদিয়াও মোবাইল ও টাকা পয়সার লোভে পড়ে যায়। গত বাংলা শ্রাবণ মাসে একদিন বৃষ্টির মধ্যে ঘরে একা পেয়ে দুলাল জোর করে সাদিয়াকে চেপে ধরে ছবি তোলে এবং ওই ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের কথা কাউকে জানালে বাবা, দাদীসহ সবাইকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভয়ে কিশোরী কাউকে কিছু জানায়নি।

কয়েকমাস পর কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা.সায়লা’র সরনাপন্ন হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এ ঘটনা দুলালকে জানালে অভিযুক্ত দুলাল কিশোরীর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে কিশোরী সাদিয়া ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।কান্না জড়িত কন্ঠে কিশোরীর বাবা বলেন, মেয়েটির মা নেই, ওর দাদী কানে শোনে না এবংচোখেও দেখে না। আমি গাড়ি চালাই, বাইরে থাকি। এ সুযোগ নিয়ে দুলাল আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকি থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ হান্নান জানান, আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo