বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিডিএমএ), বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার এসোসিয়েশন (বিডিএমপিপিএ) এবং সাধারণ ম্যাটস্ শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ এর যৌথ উদ্যোগে আজ এক সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৪ দফা দাবি পেশ করা হয়।
সংবাদ নোয়াখালী জেলার আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় ৪ দফা দাবির সাথে একমত পৌষন করে সংবাদ সম্মেলন করেন, সংবাদ সম্মেলন এ উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড সরকারের যৌথ সহায়তায় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪.৫ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে DMF (Diploma in Medical Faculty) ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে বিএমডিসি আইন ১৯৮০ এর অধীনে নিবন্ধিত হয়ে ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা চিকিৎসক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছেন। তবে বর্তমানে প্রায় ৫০,০০০ ডিপ্লোমা চিকিৎসক কর্মসংস্থানহীন অবস্থায় রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত ৪ দফা দাবি সমূহ হলো: ১. শূন্য পদে নিয়োগ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃজন করা। ২. প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের নাম পরিবর্তন করে কোর্স কারিকুলাম সংশোধন এবং ইন্টার্নশিপে লগবুক প্রণয়ন করা। ৩. বিএমএন্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অধিকার প্রদান করা। ৪. প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তন করে "মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ" নামকরণ ও সংশোধনী বাস্তবায়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে প্রায় ৩,০০০ শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে একদিকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বিডিএমএ’র মহাসচিব ডাঃ এস এম মনিরুল ইসলাম সাদাফ বলেন, "আমরা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সুনামের সাথে গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছি। কিন্তু আজ আমরা বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো অদৃশ্য কারণে উপেক্ষিত হচ্ছে।" সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, কিছু স্বৈরশাসকের দালাল গ্রেজুয়েট চিকিৎসকদের উসকানিতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ডিএমএফ ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। এতে ডিএমএফ ডিগ্রিধারী উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এ সকল অপপ্রচার দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং Penal code (Act XLV of 1860) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি আদায়ের জন্য জোরালো আহ্বান জানান এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলন নোয়াখালী ম্যাটস এর সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিডিএমএ পি পি এ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা আক্তার উদ্দিন, বিডিএমএ পি পি এ এর নোয়াখালী জেলার সেক্রেটারি ডা মাহবুবুর রহমান বাপ্পী,বিডিএমএ পি পি এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো মাজহারুল ইসলাম।