নেতার নাম নেই জনোসভা শুরুর আগেই ব্যানার খুলে ফেললেন ছাত্রলীগ নেতা

মোঃ এরশাদ আলী প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর , ২০২৩ ১৪:২২ আপডেট: ২৮ অক্টোবর , ২০২৩ ১৪:২২ পিএম
নেতার নাম নেই জনোসভা শুরুর আগেই ব্যানার খুলে ফেললেন ছাত্রলীগ নেতা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন উপলক্ষে বগুড়ার আদমদীঘির উপজেলার সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের ১নম্বার ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার নাম না রাখায় সভা শুরুর আগেই ক্ষোভে ব্যানার খুলে নিয়ে গেছে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন নামের এক ছাত্রলীগ নেতা।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন উপলক্ষে বগুড়ার আদমদীঘির উপজেলার সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের ১নম্বার ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার নাম না রাখায় সভা শুরুর আগেই ক্ষোভে ব্যানার খুলে নিয়ে গেছে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর কালিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে। পরে ব্যানার ছাড়াই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।


জানাগেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সভাস্থলের স্ট্রেজের পিছনে টাঙানো ব্যানারে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সান্তাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টুর নাম অতিথি হিসেবে না লেখায় ক্ষোভে তার অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন সভা শুরুর আগেই সেই ব্যানারটি খুলে নিয়ে চলে যান। এতে ব্যানার ছাড়াই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। তবে এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।


জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন বলেন, দলের সব কাজে আমরা থাকি। অথচ আমার নিজ এলাকায় সভা হচ্ছে আমাদের একটি কথাও বলা হয়নি। কেন বলা হয়নি? বিষয়টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় আমরা ব্যানারটি খুলে ফেলি।


সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের ১ নম্বার ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের নাম না দেওয়ার কারনে ছাত্রলীগ নেতা রিটন ব্যানারটি খুলে নিয়ে যান। বিষয়টি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।


এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুল ইসলাম মন্টু বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর নাম ব্যানারে প্রধান অতিথি ঠিকই লেখা হয়। অথচ আমার নাম লেখা হয়না। তাতে আমার কোন আক্ষেপ নেই। আমার নাম না রাখার জন্য ব্যানার খোলার ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক নয়। সভায় রিটনকে বলা হয়নি এজন্য হয়তো অভিমানে সে এমন কিছু করতে পারে।


জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, আওয়ামীলীগ নেতার নাম না রাখা অথবা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে না বলার কারনে যদি ব্যানার খোলার কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তা স্থানিয় নেতৃবৃন্দরা বসে বিষয়টি সমাধান করা উচিৎ। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।


সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদুর বারী বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা ব্যানার ছাড়াই সভা করেছি সমস্যা নেই। সৃষ্ট সমস্যা পরে একটি ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo