আকবরশাহ থানা এলাকায় দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থলে না থেকেও যুবলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশানকে ষড়যন্ত্র করে জড়ানো হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালন করা সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক মাঠে টিকতে না পেরে নিশানকে নিশানা করা হয়েছে।
আকবরশাহ থানা এলাকায় দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থলে না থেকেও যুবলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশানকে ষড়যন্ত্র করে জড়ানো হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালন করা সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক মাঠে টিকতে না পেরে নিশানকে নিশানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো ৬৪ জনের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দুজন ও সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন ৩ জন। বাকিরা বিভিন্ন স্তরের সাবেক নেতা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান গোলাম রসুল নিশান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সংগঠক। তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তাকে ও তার পরিবারকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এই জন্য একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ এলাকায় দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থলে না থেকেও তার নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আবুল মনছুর জামশেদ ও মো. আলমগীর টিপু।
গোলাম রসুল নিশান বলেন, আমি পুরোপুরি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। কোনোদিন একটি অভিযোগও আমার বিরুদ্ধে নেই। আকবরশাহ থানা এলাকায় আমি নিজেও ওইদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এরপরও আমাকে জড়ানো হয়েছে। জানতে পেরেছি এক বিএনপির নেতার ইন্ধনেই আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল নগরীর পশ্চিম ফিরোজ শাহ এলাকায় দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর সঙ্গে কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হাতাহাতির মধ্যে একটি ইঠ তার শরীরে লাগে। এরপর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাঁচদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।