মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকায় সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক এখন এজিং ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে নির্মাণাধীন সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক।
এতে করে রাষ্ট্রী সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।মাদারীপুর সদর উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর লঞ্চঘাট থেকে জাফরাবাদ সড়কের সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয় এডিপির অর্থায়নে এক মাস আগে। এ সড়কের নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় প্রায় দুই কোটি টাকা।সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। সামান্য বৃষ্টিতেই কোনও কোনও জাগায় কার্পেটিং উঠে এজিং ভেঙে গেছে।
কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া, পাথর, বালু ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন স্থানে সড়ক উঁচু নষ্ট হয়ে দেবে গেছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়াও পাকা সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ৩ ফুট মাটি থাকার কথা, কিন্তু সেখানে নেই। অথচ অধিকাংশ সড়কেই মানা হয়নি এই নিয়ম।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন অংশের এজিং ভেঙে সেটা খালের ভেতরে চলে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কয়েক দিন আগে একটি ট্রাক গেছে। সেই ট্রাকের চাকায় সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে গেছে। মূলত নিম্নমানের কাজের কারণেই ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে নির্মাণ করছে সড়ক অথচ এখনই ভেঙ্গে গেছে।বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের উচিত তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা ঠিক নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, সড়ক নির্মাণের কয়েকদিন পর বিভিন্ন স্থান গর্ত হয়ে দেবে গেছে। অনেক স্থান উঁচু নীচু হয়ে গেছে। কাজ করার সময় ঠিকাদার সঠিক নিয়মে ইট বালু ব্যবহার করেননি। পুরাতন ইট তুলে তার ওপরে বিটুমিন (পিচ) ঢেলে রোলার দিয়ে ঠিকমতো সমান না করেই কার্পেটিং করায় রাস্তার এই অবস্থা হয়েছে।
সড়কের ঠিকাদার মো. খোকন এই বিষয় কথা বলতে রাজি হননি। তিনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ বলতে বলেন।এলজিইডির মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন জানান, যে-সব স্থানে ভেঙ্গে গেছে সেখানে মাটি ফেলে মেরামত করা হবে। নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।