ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে ঝাড়ুদার ও আয়া কর্তৃক নরমাল ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) করাতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু ও প্রসূতির জীবন সংকটের ঘটনায় ডাক্তার, আয়া ও ঝাড়ুদারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত (১১জুন) মঙ্গলবার রাতে নবজাতকের বাবা মো. সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাফিসা কবির, আয়া পারুল, ঝাড়ুদার সাথি ও রিসিপশনিস্ট মোঃ রাসেলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে শনিবার ভোররাতে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন নাটোর লালপুরের মাজদিয়া এলাকার মো.সাইদুর রহমানের স্ত্রী জিমু খাতুন। মামলার বাদী সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ঈশ্বরদী জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার নাফিসা কবির, আয়া পারুল, ঝাড়ুদার সাথি ও রিসিপশনিস্ট মো. রাসেল হাসপাতালেই দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তাদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
গ্রেফতার না করার বিষয়ে থানার সঙ্গে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডাক্তার নাফিসা ও তার স্বামীর সঙ্গে বিশেষ রফাদফা হয়েছে বলে মো. সাইদুর রহমান অভিযোগ করেন। মো. সাইদুর রহমান আরও জানান, আমার স্ত্রী জিমুর অবস্থা সংকটময় থাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থার তেমন একটা উন্নতি হয়নি বলেও দাবী করেন মো. সাইদুর রহমান। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মালেকুল আফতাব ভুঁইয়া বলেন, ঈশ্বরদী জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডাক্তারের অবহেলায় ও আয়া এবং ঝাড়ুদারদের দ্বারা নরমালে বাচ্চা ডেলিভারি করাতে গিয়ে একাধিক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটিয়েছে।
ভুক্তভোগিদের দাবির মুখে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রিসোর্টটি সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামীদের সঙ্গে রফাদফা করার তথ্যটি সঠিক নয়। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোছাঃ জিমু বেগম এর স্বামী মো. সাইদুর রহমান মামলার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।