শেরপুরের নকলায় পল্লী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে দুই ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু ও ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে টালকী ইউনিয়নের মজিদবাড়ি গ্রামে ২ জনের মৃত্যু ও একজন আহতের ঘটনা এবং একই সময় পাঠাকাটা ইউনিয়নের কৈয়াকুড়ি কান্দাপাড়া গ্রামে ২ শিশু আহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মজিদবাড়ি গ্রামের পারভীন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহিণী ও তাঁর (পারভীনের) চাচা শ্বশুর ফিরোজ মিয়া (৪০) নামে এক কৃষক। পারভীন ৩ সন্তানের জননী ও ফিরোজ মিয়া ২ সন্তানের জনক। একই ঘটনায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (১৩) নামে এক কিশোর আহত হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্নিঝড় রিমালের প্রভাবে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গত সোমবার রাত থেকে পুরো নকলা উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে পিডিবি মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারলেও পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ চালু করা হয় বুধবার বিকেল ৫টার দিকে। কিন্তু তখনও ফিরোজ মিয়ার বাড়ির ভিতরের লাইন ছিড়ে মাটির কাছাকাছি ঝুলে ছিলো। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালে লাইন ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী এলাকার অন্য একটি লাইন ঠিক করতে যায়। এই ফাঁকে পারভীন আক্তার অসাবধানতা বশতঃ ছেড়া তারে জড়িয়ে পড়েন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর (পারভীনের) চাচা শ্বশুর ফিরোজ মিয়াও বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় তাদেরকে বাঁচাতে গিয়ে ফিরোজ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে আহত হয়।
তাদের ৩ জনকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন এবং আহত কিশোরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। চিকিৎসকরা জানান, তাদেরকে হাসপাতালে আনার আগেই বা ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে একই সময় পাঠাকাটা ইউনিয়নের কৈয়াকুড়ি কান্দাপাড়া গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে আবু হামজা (৭) ও একই এলাকার রাজন মিয়ার মেয়ে রিয়া আক্তার (৯) নামে দুই শিশু পল্লী বিদ্যুতের ছেড়া স্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে আহত হয়।