শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন কুর্শা বাদাগৈড় এলাকায় আন্তঃ জেলা সিএনজি চোর চক্রের মূল হোতা শ্যামল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন কুর্শা বাদাগৈড় এলাকায় আন্তঃ জেলা সিএনজি চোর চক্রের মূল হোতা শ্যামল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার ৩১ মার্চ রাত ১১ টার পর জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য যে, বাদী মোঃ সুলতান মিয়া গাড়িটির ব্যক্তিগত বৈধ মালিক তিনি সিএনজি গাড়ীটি প্রতিদিন (চারশত পঞ্চাশ) টাকায় শেরপুর জেলার নকলা থানার মৃত আন্তাজ আলীর ছেলে মোঃ আঃ ছালাম ভাড়ায় চালিয়ে নিয়মিত ভাবে প্রতিদিন বাদীকে ভাড়া প্রদান করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় সিএনজি গাড়ীটি চালনা শেষে বাদীর বাড়ীতে ফেরত না দিয়ে মেসার্স সিলেটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপে রেখে চলে যায়। বাদী তার সিএনজি গাড়ীটির কথা জিজ্ঞাস করিলে সিএনজি গাড়ীটির সেলফ স্টার্টে ত্রুটি হয়েছে বিধায় তার গ্যারেজে রেখে এসেছে বলে জানায়।
অতঃপর পরদিন সকাল অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময় বাদী লোক মারফত জানতে পারে যে, তার সিএনজি গাড়ীটি চুরি হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক আসামী শ্যামলকে মোবাইল ফোনে ফোন করিলে সে ফোন রিসিভ করে নাই। উক্ত ঘটনার পর হতে আসামী শ্যামল মিয়ার গ্যারেজ বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে, মোঃ সুলতান মিয়া শেরপুর জেলার নকলা থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে অফিসার-ইনচার্জ নকলা থানার ০১/০২/২০২৪ ইং মামলা রুজু করেন।
এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর আবরার ফয়সাল সাদী এর নেতৃত্বে এবং র্যাব-১, সিপিসি-১, উত্তরা, ঢাকার মেজর আহনাফ রাসিফ হালিম এর সহায়তায় র্যাবের একটি যৌথ আভিযানিক দল রোববার ৩১ মার্চ বিকেলে জিএমপি গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব ষ্টেশন রােড বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তামিম ফার্মেসীর সামনে হতে আন্তঃ জেলা চোর চক্রের মূলহোতা শ্যামল আসামী শ্যামল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে মামলা মোতাবেক শেরপুর জেলার নকলা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।