ঢাকার ধামরাইয়ে নিজ বাড়ির কক্ষ থেকে দুই ছেলেসহ মায়ের রহস্যজনক ম*রদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে খাবারে বি*ষক্রিয়ার মাধ্যমে তারা আ*ত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার বাড়ি থেকে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের ম*রদেহ উদ্ধার করা হয়।
নি*হতরা হলেন, ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নার্গিস (৪৫), তার বড় ছেলে মো. শামীম (১৮) ও ছোট ছেলে মো. সোলাইমান (৭)।
হাবিবুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বছর খানেক আগে স্বামী রাজা মিয়ার স্ট্রোকে মা*রা যাওয়ার পর থেকে নার্গিস তার দুই ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। বিয়ের সুবাদে তার বড় মেয়েও শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করেন। আজ সকাল থেকে মা নার্গিসের মুঠোফোনে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পেয়ে দুপুরে সে রক্ষিত এলাকায় নিজের বাড়িতে চলে আসেন। এসময় বাইরে দেখে কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বিছানার উপরে দুই ভাই ও মায়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় পুলিশ কক্ষের ভিতর থেকে বেশ কিছু খাবার যেমন ভাত ও ডিম ভাজিসহ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নি*হত নার্গিস আক্তারের পরিবারের একটি ডেকোরেটরের ব্যবসা ছিল। স্বামীর মৃ*ত্যুর পর বড় ছেলে শামীম টুকটাক ডেকোরেশনের ব্যবসা দেখাশোনা করতো। অভাব অনটনের কারণে পরে সেই ব্যবসাও বিক্রি করে দেন নার্গিস। এরপর থেকেই তারা অনেক অভাবগ্রস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু কি কারণে তাদের মৃ*ত্যু হলো সেটা এখনো কেউ বলতে পারছে না। তাদের শরীরেও আ*ঘাতের চিহ্ন নেই। তাদের কোন শত্রু আছে কিনা সেটাও কেউ বলতে পারছে না।
ঢাকা জেলার সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনজনের ম*রদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ম*র্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সাথে প*য়জন জাতীয় কিছু মিছিয়ে তারা তিনজন একসাথে আ*ত্মহত্যা করেছে। নিহতদের শরীরেও আ*ঘাতের কোন চিহ্ন ছিলো না। এঘটনায় আইনগত সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।