চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে উন্নীত করতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম। আর মেধাবীরাই দেশ ও জাতিকে দিতে পারে সঠিক পথের দিশা। তাই নীতির প্রশ্নে অটুট থেকে আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের যোগ্য মানুষ হয়ে আলোকিত সমাজ ও দেশ গড়ার ভূমিকা পালন করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে উন্নীত করতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম। আর মেধাবীরাই দেশ ও জাতিকে দিতে পারে সঠিক পথের দিশা। তাই নীতির প্রশ্নে অটুট থেকে আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের যোগ্য মানুষ হয়ে আলোকিত সমাজ ও দেশ গড়ার ভূমিকা পালন করতে হবে।
২৪ মে শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরের এলজিইডি মিলনায়তনে জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণ ও শিশু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জীবনে বড় হতে হলে লেখাপড়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মেয়র আরও বলেন, আজকের মেধাবীরা আগামী দিনের সম্পদ। আজকে যারা ভালো রেজাল্ট করেছে তারা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দিবে। তাই সুস্থ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মেধা বিকাশ ঘটানোর সুযোগ অবারিত করতে হবে। এক্ষেত্রে জিনিয়াস মেধাবৃত্তি পরীক্ষা শিশুদের জন্য সময়োপযোগী এবং শিক্ষাবান্ধব একটি উদ্যোগ। আমি জিনিয়াসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, জাতিকে সঠিক বন্দরে পৌঁছে দিতে হলে লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হতে হবে। দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলী অর্জন করতে হবে। সুশিক্ষাই কেবল দেশ ও জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে। তাই সবাইকে সুশিক্ষা অর্জনে মনোযোগী হতে হবে।
জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ইফতেখার হোসেন তিশন ও বিলকিছ আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিনিয়াস প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাংবাদিক সরোজ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, সিপ্লাসটিভি ও চাটগাঁ নিউজের প্রধান সম্পাদক আলমগীর অপু, জিনিয়াস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন বিপ্লব মিত্র, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য লায়ন আফসার হোছাইন চৌধুরী, লায়ন অনুপ কুমার রায়, লায়ন সমর কুমার দে প্রমুখ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ বলেন, আজকের মেধাবীরা একদিন দেশকে নেতৃত্ব দিবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হবে। দেশের উন্নয়নে তারা মেধা ও মননশীলতার পরিচয় দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে জিনিয়াস ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।
সভাপতির বক্তব্যে এম আর আজিম বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে নানা উৎসাহমূলক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। শুরু থেকে শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা সম্ভব না হলে মেধা ও মননে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা শিশুদের মধ্যে যখন জ্ঞানের আলো দিতে পারবো তখনই তারা নিজেদের মধ্যে শক্তি খুঁজে পাবে।
অনুষ্ঠানে জিনিয়াস সদস্য সচিব মিয়া এমএ করিম, যুগ্ম সদস্য সচিব সুশান্ত কুমার শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিদওয়ানুল হক, রাশেদুল আলম চৌধুরী, দিদারুল আলম, ইমতিয়াজ রহমান খান, সানজিদা শাহরিন, তানজিম আহমেদ, সাঈদ মো. সাইমুন সাকিবসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রাম মহানগরের প্রায় একশ’ স্কুলের কে জি থেকে অষ্টম শ্রেণির চার শতাধিক মেধাবি শিক্ষার্থীর হাতে সনদ, ক্রেস্ট, ল্যাপটপ, নগদ অর্থ ও ব্যাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অতিথিরা।