দুমকিতে কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৮ মার্চ , ২০২৪ ০৯:৪৮ আপডেট: ১৮ মার্চ , ২০২৪ ০৪:০৯ এএম
দুমকিতে কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার
পটুয়াখালীর দুমকিতে পর্ণোভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ১২ বছরের কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী ৩ সন্তানের জনক দুলাল খন্দকার (৩৫) কে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানার ফুলঝুঁড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তার বাড়ী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামে।

পটুয়াখালীর দুমকিতে পর্ণোভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ১২ বছরের কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী ৩ সন্তানের জনক দুলাল খন্দকার (৩৫) কে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানার ফুলঝুঁড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তার বাড়ী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামে।

মামলার বিবরন ও ভুক্তভোগী কিশোরীর দেয়া সাক্ষাৎকারে জানাযায়, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামের অটোচালক কবির খন্দকারের মেয়ে ও দুমকি নাসিমা কেরামত আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার (১২) ঘরে বৃদ্ধ দাদাীর সাথে থাকতো। তার মাকে ১২ বছর পূর্বে তালাক দেয়া হয়েছে। কবির খন্দকার অটো চালিয়ে গভীর রাতে বাসায় ফিরে। ঘরে সাদিয়ার বৃদ্ধ দাদী ও সাদিয়া ছাড়া আর কেউ নেই। সাদিয়া বাড়িতে একা দেখে অভিযুক্ত প্রতিবেশী লম্পট দুলালের লালশা জাগে। সে বিভিন্ন ছলছুতায় প্রায় রাতেই জাল ও টেটা দিয়ে মাছ শিকারের অযুহাতে তাদের বাড়িতে আসতো। রাতে মাছ শিকার করতে এসে মোবাইলে সিনেমার ছবি চালু করে দিয়ে সাদিয়াকে দেখতে দিতো।সাদিয়াও মোবাইল ও টাকা পয়সার লোভে পড়ে যায়। গত বাংলা শ্রাবণ মাসে একদিন বৃষ্টির মধ্যে ঘরে একা পেয়ে দুলাল জোর করে সাদিয়াকে চেপে ধরে ছবি তোলে এবং ওই ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের কথা কাউকে জানালে বাবা, দাদীসহ সবাইকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভয়ে কিশোরী কাউকে কিছু জানায়নি। হঠাৎ ভিকটিম সাদিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে সে দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সায়লা’র শরণাপন্ন হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানায় যে, সে ২৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনা দুলালকে জানালে অভিযুক্ত দুলাল কিশোরীর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত দুলাল পলাতক থাকে।

এদিকে ভুক্তভোগীর পিতা কবির খন্দকার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩) এর ৯ (১) তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড ধারায় গত রোববার থানায় মামলা করে।(মামলা নং-০৬)। ঘটনাটি র‌্যাবের নজরে আসলে আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে র‌্যাব। মামলা রুজু হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাব-৮’র পটুয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা’র নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল রোববার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানার ফুলঝুঁড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতারপূর্বক দুমকি থানায় হস্তান্তর করে। সাদিয়া পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে অন্তঃস্বত্ত্বা অসহায় কিশোরী সাদিয়া তার অনাগত সন্তানের পিতার স্বীকৃতিসহ আইনি সহায়তার মাধ্যমে ঘটনার বিচার দাবী করেছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo