টানা ৪দিনের বর্ষণে ১৬দিনের ব্যবধানে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ৪র্থবার খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে শতশত পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে।
দীঘিনালা-লংগদু মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানি ডুকে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কে কবাখালী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সাথে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র শত শত পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও হাজার হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থা রয়েছে।দীঘিনালা-সাজেক মুলসড়কে কবাখালী এলাকার পাঁকা রাস্তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার , কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং ও বাবুছড়া ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত সহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগ। ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য উপজেরাপ্রশাসনের পক্ষথকে ঘোষনা করা হয়েছে। টানা প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়া সহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র।
এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসছে। কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন কবাখালী ইউনিয়ন ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র বন্যায় কবলিত এলাকার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো ব্যবস্থা করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে ১৬দিন ব্যবধানে ৪র্থ বারের মত উপজেলার বন্যায় দেখা দিয়েছে। উপজেলা ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য পাঁচিটি ইউপিতে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্র¯‘ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।