সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি। তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত রেখেছেন শিক্ষকরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
ঝিনাইদহ শহরের মুরারিদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষে নেই কোনো শিক্ষক, অনেকটাই ফাঁকা বেঞ্চ। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল খুবই কম। ফলে অভিভাবকদের মাঝেও দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা।
একজন অভিভাবক বলেন, “আমরা তো ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছি, কিন্তু তারা ফিরে আসছে খালি হাতে। এতে তো আমাদের বাচ্চারা ক্ষতির মুখে পড়ছে।”
তবে এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে সদর উপজেলার হীরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল শতভাগ। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, উপর মহল থেকে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় তারা নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।
হীরাডাঙ্গা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, “আমরা এখনো কোনো সরকারি নির্দেশনা পাইনি। তাই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষকরা তিন দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এরমধ্যে রয়েছে সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড উন্নয়ন, টাইমস্কেল বহাল রাখা ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন দাবিনামা।
এই আন্দোলনের কারণে দেশের বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। তবে হীরাডাঙ্গা বিদ্যালয়ের মতো কিছু ব্যতিক্রমী উদাহরণ এখনো আশার আলো দেখাচ্ছে।