ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন

মোঃ আব্দুল মতিন সায়েদি প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৮:১৮ আপডেট: ১৫ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৮:১৮ এএম
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় বিদ্যালয়ের সব পুড়ে ছাই হয়েগেছে। রোববার সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে উত্তর পারপুগীর দক্ষিণ পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল ১১ টায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভায়।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে একটি  প্রাথমিক বিদ্যালয় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় বিদ্যালয়ের সব পুড়ে ছাই হয়েগেছে। রোববার  সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে উত্তর পারপুগীর দক্ষিণ পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল ১১ টায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভায়। ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন আগুনের সত্যততা নিশ্চিৎ করেন।

জানা যায়, ২০০২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। সেই থেকে চার জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা হয়ে আসছিলো। এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করা হলেও এখনো বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্ত হয়নি। পরবর্তীতে শিক্ষক সংকটের কারনে গত দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ে  পাঠদান  বন্ধ ছিল।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, বিনা বেতনে শিক্ষকরা এখানে পাঠদান দিয়ে আসছিলেন। আমরা সরকারি বই সংগ্রহ করে থাকি। গ্রামের যে কতজন শিক্ষার্থী পাই তাদের সে বই দিয়ে পাঠদান করানো হয় এবং অন্য বিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করানো হয় শিক্ষার্থীদের। এভাবেই বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছিলো। তিনি বলেন, আজ সকালে আমাকে গ্রামের এক প্রতিবেশী এসে খবর দেয় বিদ্যালয় জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি সকালে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের টিন বাদে আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় নথি, বই পত্র সহ সব পুড়ে ছাই হয়েগেছে।

কারা কি কারনে আগুন দিতে পারর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে আমি ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে অনেকেই আমাকে অপমানমূলক কথাবার্তা বলেছে। আমার ধারণা এ কারনেই দুরবৃত্তরা আমার বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে। আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, বিদ্যালয়ের ঘরে আগুনের ঘটনার খবর পেয়ে সেখাসে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পুলিশ ঘটনাটা তদন্ত করছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo