এ ব্যাপারে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব জানান, বিষয়টি তিনি অবগত না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ ওএমআর শিট খামে ভরে ডাকযোগে বোর্ডে পাঠানো হয়। বোর্ডে এসব শিট স্কানিং করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। খণ্ডকালীন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এ কাজটি করানো হয়।
সূত্র আরো জানায়, এই কার্যক্রমটি সহজে করার জন্য ২০২০ সালের আগস্ট মাসে তৎকালীন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোয় স্কানিং মেশিন কেনার জন্য কেন্দ্র টাকা বরাদ্দ দেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্র প্রতি ৩০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। ১২৫টি কেন্দ্রে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়েছিলো।
সূত্রমতে, কেন্দ্র থেকে সরাসরি ওএমআর শিট স্কানিং করে বোর্ডে পাঠানোর জন্য মেমিন কেনার উদ্যোগটি নেয়া হয়েছিলো। যাতে বোর্ডে নিয়ে এসে আবারো নতুন করে এগুলো স্কানিং করতে না হয়। কিন্তু আড়াই বছর পার হলেও পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য স্কানিং মেশিন কেনা হয়নি। এমনকি বরাদ্দের টাকাও বোর্ডে ফেরত দেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, সাবেক চেয়ারম্যান যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন, সেটা বাতিল হয়ে গেছে। এখন আগের নিয়মে ওএমআর শিট বোর্ডে এনে স্কানিং করা হয়।
বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন জানান, তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন একটি সফটওয়ার তৈরির জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সাথে চুক্তি করা হয়। কেন্দ্র থেকে ওএমআর শিট স্কানিং করে বোর্ডে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক কেন্দ্রে মেশিন কিনতে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যাতে বোর্ডে এনে ওএমআর শিট স্কানিং করা না লাগে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছিলো।
তিনি বলেন, যেহেতু এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করা হয়নি তাই বোর্ড থেকে কেন্দ্রে চিঠি দিয়ে টাকা ফেরত নেয়া যাবে।
ঝিকরগাছার গঙ্গানন্দপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, বোর্ড থেকে টাকা দিয়ে কেন্দ্রের জন্য স্কানিং মেশিন কিনতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু মেশিনের মডেল সম্পর্কে কোনো কিছু বলে দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে একটি প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু কোনটিই না করায় মেশিনটি কেনা হয়নি।