মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলা যশলং ইউনিয়নের পুরা এলাকায় গতকাল (৪ই জুলাই)রাতে ৮:৩০ টার সময় ইমন নামে (২৪) এক ইমু হ্যাকার সদস্য আটক হন।
হ্যাকার ইমন বহুদিন ধরে সীমা (২৬) নামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসী স্ত্রীর আইডি হ্যাক করে অভিনব কায়দায় প্রতারণার ফাঁদ পেতে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছেন। ভুক্তভোগী সীমা সদর উপজেলা মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চর বেশনাল গ্রামের প্রবাসী মুক্তার হোসেনের স্ত্রী।
ঘটনার দিন হ্যাকার ভুক্তভোগী সীমার ছোটবোনের কাছ থেকে বিকাশে টাকা চায় কিন্তু ঘটনা ক্রমে সীমা ঐদিন তার নিজের বাপের বাড়ি অবস্থান করছিলেন। তাই প্রতারকের প্রতারণার ফাঁদ ধরে ফেলেন এবং প্রতারককে বলেন একটি নগদ নাম্বার দে।কিন্তু প্রতারকের কাছে কোন নগদ নাম্বার না থাকায় পুরা এলাকার সম্মানিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিনের কাছ থেকে একটি নগদ নাম্বার নিয়ে সীমার ছোট বোনের আইডি একাউন্টে নগদ অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাঠান এবং বলেন তাড়াতাড়ি টাকাটা দে।
ছোট বোন উক্ত নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে দোকানদার মাইনুদ্দিনের কণ্ঠ ভেসে আসে এতেই বোঝা যায় প্রতারক মাইনুদ্দিন দোকানের আসে পাশে কোথাও আছে। আর এই সুযোগেই সীমা বেগম তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজন নিয়ে হাতে-নাতে তাকে ধরে ফেলে।দোকানদার মাইনুদ্দিন জানান হ্যাকার নগদ নাম্বার নেওয়ার কিছুক্ষণ পর পরেই আমার কাছে এসে বলে ভাই টাকাটা আইছে কিনা একটু চেক দেন এবং আমি বলি না আসে নাই।
আর তখনই বুঝছিলাম কোন একটা সমস্যা আছে। আর এর কিছুক্ষণ পরেই এলাকার লোকজন ও ভুক্তভোগীর লোকজন এসে তাকে ঘেরাও করে হাতেনাতে ধরে ফেলে।এলাকার লোকজন জানান যে ও শুধু ইমু হ্যাক করেই মানুষের সাথে প্রতারণা করে না ও মানুষের বাসা বাড়ির থেকে বড় বড় জিনিসপত্র চুরি করেও পালিয়ে যায়।
ধরা পড়ার পরে হ্যাকার ইমন জানান যে তিনি সীমা বেগমকে কখনো দেখেননি কিংবা চেনেন না এবং তার ইমো আইডি তিনি হ্যাকও করেননি। অথচ তার মোবাইল থেকে উক্ত হ্যাককৃত আইডি উদ্ধার করা হয় এবং হ্যাকার কে প্রচুর উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন।