টংগীবাড়ীর পাঁচগাঁও ইউনিয়নে দুর্বৃত্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

অধীর চন্দ্র দাস প্রকাশিত: ১৬ জুলাই , ২০২৪ ১৩:৪৭ আপডেট: ১৬ জুলাই , ২০২৪ ১৩:৪৭ পিএম
টংগীবাড়ীর পাঁচগাঁও ইউনিয়নে দুর্বৃত্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
গত ১৪ই জুলাই বিচারের দবিতে ঘণ্টা দিনব্যাপী জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে পাঁচগাঁও ইউনিয়নবাসী। এই মানববন্ধন শেষে সুমন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদার (৪৫) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলনের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

গত ১৪ই জুলাই বিচারের দবিতে ঘণ্টা দিনব্যাপী জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে পাঁচগাঁও ইউনিয়নবাসী। এই মানববন্ধন শেষে সুমন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান মিলনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

মানববন্ধনে পাঁচগাঁও আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় ও পাঁচগাঁও গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের প্রায় হাজার-দুই নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানববন্ধন শেষে হঠাৎ করেই এক আসামির বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করা হবে। অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পাঁচগাও আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান দেওয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান হালদার, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র বিশ্বাস, নিহতের ছোট ভাই লিমন হালদার, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার, সাবেক ইউপি সদস্য আয়েশা বেগমসহ ওই এলাকার অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই দুপুরে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই বিদ্যালয়ের সামনে  পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হসপিটালে  নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় তিন দুষ্কৃতিকারীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনার পরের দিন ৮ জুলাই টঙ্গীবাড়ী থানায় নিহতের ছোট ভাই ইমন হালদার বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করলেও হত্যার মূল আসামিসহ পরিকল্পনাকারীরা এখনো পলাতক রয়েছেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo