২৩ জুন রবিবার বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এস রহমান হলে চট্টগ্রামের মিরেশ্বরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সাহেবদী নগর ০৬ নং ইছাখালী ইউনিয়নের ০২ ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোছাম্মৎ রিজিয়া বেগম, স্বামী আলমগীর,এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।এসময় ভিকটিম রেজিয়া বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাপ্পী দে। লিখিত বক্তব্যে বলেন ভিকটিম রেজিয়া বেগমের সাথে এলাকায় জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশী মোঃ সাহাব উদ্দিন, জুনায়েদ, ইসমাইল,ইউছুফ ও জাফর গংদের সাথে গত ১০ জুন (সোমবার )ঝগড়া- ঝাটির হয়।একই দিনে এই বিষয়ে গ্রামে ও থানায় কয়েক ধপা বৈঠক হয়।
এক পর্যায়ে শালিস বৈঠককে তোয়াক্কা না করে প্রতিবেশী সাহাব উদ্দিন গংরা সকাল ৭:৩০ মিনিটে দফায় দফায় দেশীয় অস্ত্র ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। এসময় রেজিয়া বেগমের প্রবাসী ভাইয়ের ঘরে প্রবেশ করে মহিলাদের মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।এক পর্যায়ে রেজিয়া বেগমের পরিবারের চিৎকার, চেঁচামেচিতে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পলিয়ে যায়। একই তারিখে রাত আনুমানিক ০৮ টায় সাহাব উদ্দিন গংরা পূর্ব শত্রুতার জেরে, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রেজিয়া বেগমের বসত ভিটায় আগুন ধরিয়ে দেয়।এসময় আগুনের লেলিহান দেখে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে দীর্ঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি সরজমিনে তদন্ত করে অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ড করেন। মামলা নং ১০/২৪।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে মামলার আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
বর্তমানে আসামিরা এলাকায় এসে প্রকাশ্যে ভুক্তভোগী পরিবার ও সাক্ষীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।এমতাবস্থায় আমরা ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন
রেজিয়া বেগম, (ভুক্তভোগী)
মোঃ আলমগীর,
হামিদা বেগম,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, মোঃ জাহাঙ্গীর,নুর জাহান কামাল উদ্দিন প্রমুখ।