জাবিতে সংঘবদ্ধ গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

রফিকুল ইসলাম জিল্লু প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:৫৪ আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:৫৪ এএম
জাবিতে সংঘবদ্ধ গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য সরবরাহ করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি। এর আগে শনিবার গভীর রাতে জাহাঙ্গীরনহর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন জন ও মামলার প্রধান আসামিকে সাভার পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতর এঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান। এছাড়া পলাতক রয়েছেন শিক্ষার্থী মোঃ মুরাদ ও বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুন। মামলায় মুরাদকে ভুক্তভোগীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। এঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

 মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদকে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি চারজনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামী পূর্বপরিচিত মামুনের সাথে দেখা করতে জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হলে যান। পরে মামুনকে টিভি ও ফ্রিজ ক্রয়ের কথা বলেন ভুক্তভোগীর স্বামী। পরে মামুনের কথামত স্ত্রীকে ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেন। স্বামীর কথামত ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে মামুন স্বামীকে মীর মোশাররফ হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে স্বামীর সাথে দেখা করার কথা বলে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করেন মামুন ও মোস্তাফিজ। পরে দুইজন ভুক্তভোগীকে স্বামীর কাছে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এসময় মামুন ও মোস্তাফিজ গ্রেপ্তার তিনজনের সহায়তায় পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে রাতেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভুক্তভোগীকে তার স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo