জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা সরকারি গ্রনথাগারে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমৃদ্ব হোক গ্রনথাগার, এই আমাদের অঙ্গীকার প্রতিপাদ্যকে সামনের রেখে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, যে মানুষ যত বেশি কল্পনা করতে পারবে, তার মানবিক গুনাবলী ততবাড়বে। এজন্য মস্তিস্ক খালি রাখতে হবে। সেই সাথে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য পড়াশুনার চাহিদা থাকতে হবে। মেধা ও যোগ্যতাকে লেখাপড়ার মধ্যদিয়ে কাজে লাগাতে হবে। অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রাচ্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা লেখক ও গবেষক বেনজীন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন। জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মমতাজ খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহবায়ক রাশেদ খান, এমএম কলেজের অনার্সের ছাত্র ইরিয়াস হোসেন, শার্শা কনেজপুর কন্দর্পপুর গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেসিবি বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি সাজিন আগম্মেদ জয় ও সুমনা ইসলাম। আলোচনা শেষে সেরা শিশু পাঠক দারুল ইসলাহ প্রিক্যাডেট মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ফাইয়াজ আফনানকে পুরস্কার দেয়া হয়। একই সাথে বই পড়া, রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৩০ জন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকেলে যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরিতে জাতীয় গ্রনথাগার দিবস উপলক্ষে দিবস উপলক্ষে নৈকট্য ৬ষ্ঠ সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব ও আবৃত্তি ,কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু। যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক এস নিয়াজ মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কথা সাহিত্যিক অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী, নৈকট্য ৬ষ্ঠ সংখ্যার সম্পাদক মুস্তফিজুর রহমান মুস্তাক, শনিবাসরীয় সাহিত্য আসরের আহবায়ক মমতাজ উদ্দীন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি আজিজুল রহমান শিমুল। আলোচনা শেষে ১৫ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।