ছাত্রসমাজের সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরীতে

মাহাবুব হোসেন প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১২:০৪ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১২:০৪ পিএম
ছাত্রসমাজের সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরীতে
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরী যেন এক জরাজীর্ণ অগোছালো ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছিল।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কদিন আগেও কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরীর দায়িত্বশীলদের অবহেলায় জরাজীর্ণ,অগোছালো,নিষ্প্রাণ হয়েছিল লাইব্রেরী ভবন ও কক্ষগুলো।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতের ছোঁয়াতে বদলে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরীর চিত্র।  

১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরী যেন এক জরাজীর্ণ অগোছালো ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছিল।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কদিন আগেও কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরীর দায়িত্বশীলদের অবহেলায় জরাজীর্ণ,অগোছালো,নিষ্প্রাণ হয়েছিল লাইব্রেরী ভবন ও কক্ষগুলো।

বইপত্র রাখার আলমারি,মিক্সেফ,র‍্যাক আর পড়ার টেবিলে চেয়ারের উপর ধূলির স্বর জমেছে।লাইব্রেরী জুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল ধূলিকণা ও মাকড়সার আধিপত্য।কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই পাবলিক লাইব্রেরীর আঙিনায় একসময় পাঠকের পদচারনায় মুখরিত থাকতো কিন্তু সেই লাইব্রেরি যেন জরাজীর্ণ ভূতের বাড়ি।তাই ছিলনা পাঠকের উপস্তিতি,আনাগোনা হতোনা কবি লেখকদের। জমতো না  বই পড়ার সাথে চায়ের আড্ডা। 

এমন দূরাবস্থা চোখে পড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্রসমাজের। সংস্কারের প্রয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা কাজ শুরু করে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক পরামর্শে দিনভর কাজ করেছে শিক্ষার্থীরা।ইতিমধ্যেই ধুয়ে মুছে পরিপাটি করা হয়েছে।অগোছালো বই এখন গোছালো করে রাখা হচ্ছে থরে থরে। এমন কাজ চলমান থাকলে দ্রুতই সেই আগের জৌলুশ ফিরবে কুমারখালীর পাবলিক লাইব্রেরীর। 

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত লাইব্রেরি অবহেলিত অবস্থায় পড়েছিলো। বইগুলো এলোমেলোভাবে পড়েছিলো লাইব্রেরি থেকে ৭ দিনের জন্য কোনো বই বাসায় নিয়ে গেলে যে রেজিষ্ট্রেশন খাতা থাকে সেটাও ছিলো না তাই আমরা সবাই মিলে লাইব্রেরির বই গুলো র‍্যাকে গুছিয়ে রাখছি খুব দ্রুতই আমরা কাজ শেষ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

এবিষয়ে কথা হয় কবি, সাহিত্যিক ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সাথে কথা হলে  তিনি জানান, ইতিমধ্যেই  দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মিটিং করেছে এবং  কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরী সংস্কারের কাজ করছে।  বিশেষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ তো করছেই পাশাপাশি পাবলিক লাইব্রেরির বইসহ সবকিছু ছিল তবে তা ছিল অগোছালো,  সেগুলো তারা সুন্দর গোছালো করেছে।

কমিটির সংস্কারের প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন আব্বাস জানান, যারা প্রতিষ্ঠানের জন্য সময় দিবে,যারা কাজ করবে,  পরিকল্পনা করবে তাদেরকেই কমিটিতে আনা উচিত। সেইসাথে দ্রুতই পাবলিক লাইব্রেরি আবারো পূর্বের গৌরবময় জৌলুসে ফিরবে এমনটাই প্রত্যাশা তার।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।

  খু্ব দ্রুতই পাবলিক লাইব্রেরির অনেক পরিবর্তন দেখা যাবে ছাত্রদের হাত দিয়ে সংস্কারের মধ্য দিয়ে।সেইসাথে সেখানে একটি শিক্ষার্থী হেল্প কর্ণারও চালু করার বিষয়ে জানান তিনি। সেখান থেকে খুব অল্প খরচে শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফরম পূরণ  করতে পারবে। চাকরির আবেদন করতে পারবে।  থাকবে  বিসিএস প্রস্তুতিমূলক সহ চাকরির সহায়িকা নানা বই।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo