ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, বুয়েট কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১ এপ্রিল , ২০২৪ ১০:৪৪ আপডেট: ১ এপ্রিল , ২০২৪ ১০:৪৪ এএম
ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, বুয়েট কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে : গয়েশ্বর
মেধাবী সন্তানদের লেখাপড়ার স্বার্থে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মেধাবী সন্তানদের লেখাপড়ার স্বার্থে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

সম্প্রতি নাটোরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বিএসএমএমইউ’তে চিকিৎসাধীন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্ররাজনীতি চাই তো, আমরাও ছাত্ররাজনীতি করে এই পর্যন্ত এসেছি।

ছাত্ররাজনীতি তো বাধা না। একটি শিক্ষাঙ্গনে একদলীয় ছাত্রসংগঠন, তাদের নানা ধরনের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন-অত্যাচার, ভিন্ন মতের ছাত্রসংগঠনকে থাকতে না দেওয়া এবং নৃশংসভাবে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে শুধু ছাত্ররা না, দেশের সুশীলসমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে ওঠে। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন থাকবে না।

যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা এখনো বলবৎ আছে কি না, সেই আশঙ্কা আছে কি না- সার্বিক দিক বিবেচনা করে বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না। 

তিনি আরো বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখা এবং মা-বাবার মেধাবী সন্তানরা যারা এখানে লেখাপড়া করে, তাদের লেখাপড়ার স্বার্থে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সেখানে রাজনীতি বিরত রাখবে- এটা তাদের সিদ্ধান্ত। 

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আমি মনে করি, বুয়েটের অবস্থার চেয়েও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরো শোচনীয়। সেখানে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছিল ছাত্রলীগ নেতা মানিক।

এর চেয়ে ঘৃণিত আর কী হতে পারে। আসলে তারা কোনো কলঙ্কে কলঙ্কিত না। আমরা যতই তাদের কলঙ্কিত মনে করি, তারা তত অলঙ্কৃত হয়। এর একটি কারণ, পেশিশক্তির ব্যবহার এবং প্রশাসনের দলীয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি ধ্বংস করা। এখন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আছে কি না সন্দেহ আছে।

কিছুদিন পরে বোঝা যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আদৌ আছে কি না।

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে উপস্থিত সাংবাদিকদের গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রায়ই আমাদের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হয়। সারা দেশে ক্ষমতাসীনদের এ নৃশংসতা চলছে। তারপরও বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে যায় না। তবে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও পেশিশক্তি ছাড়া জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পক্ষে রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে মনে করেন গয়েশ্বর।

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদে সারা দেশে কান্নার রোল পড়লেও ক্ষমতাসীনরা খুশি হবে বলে মনে করেন গয়েশ্বর।(সূত্র:কালের কন্ঠ)




এই বিভাগের আরোও খবর

Logo