কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদরের ৩টি খেলার মাঠ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা পর্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওই মাঠগুলো টানা ভারী বর্ষণের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়।
পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠগুলো তলিয়ে যায়। এগুলো হলো- চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ, চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ মাঠ ও চান্দিনা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠ। পাশ্ববর্তী একটি পুকুরের পানির সাথে মাঠের পানি একাকার হয়ে এখন আশ-পাশের আবাসিক এলাকার মানুষগুলোও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে থৈ থৈ করছে পুরো মাঠ। মাঠের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তে তাকালে দেখা যায় যেন চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রি কলেজ ও চান্দিনা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ভাসছে। মাঠের পানিতে গাঁ ভাসিয়ে যেন বৃষ্টিস্নানে মগ্ন হয়েছে এলাকার শিশু-কিশোররা। পানি বন্দি হয়ে কলেজের সীমানা ও মাঠের পাশে থাকা মসজিদে মুসল্লীদের যাতায়াতও বন্ধ হয়ে গেছে।
চান্দিনার ফুটলার মোস্তফা কামাল, আবদুল বারেক, ক্রিকেটার মানিক জানান- দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই পানির সমস্যায় মাঠটিতে খেলাধূলা প্রায় বন্ধ। বর্ষা মৌসুমে এ মাঠগুলোতে খেলার কোন পরিবেশ থাকে না। বর্ষা মৌসুমের পুরোটাই পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এমনও দেখা যায় দীর্ঘ কয়েকমাস পানি জমে থাকায় মাঠের দক্ষিণ পাশে বড় বড় আগাছা বেড়ে উঠে।সিনিয়র ফুটবলার জুয়েল ভূইয়া বলেন- তিনটি মাঠই পাশাপাশি। পাইলট স্কুল মাঠটির পশ্চিম অংশে পরিকল্পিতভাবে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরী করা হলে পানি নিষ্কাশন হবে।
মাঠটিতে খেলার পরিবেশ ফিরলে তরুণদের খেলার আগ্রহ বাড়বে। এতে মাদকসহ সামাজিক ছোট ছোট অপরাধও কমে আসবে।চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক বিষয়টি স্বীকার করে জানান, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম করার পর স্কুলের মাঠটি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এমপি, মেয়র বা উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সংস্কার কাজ না করলে আমাদের আসলে এতো টাকা নেই যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করবো। মাঠটি সংস্কার করতে আমরা সরাকারের উপরই নির্ভরশীল।