চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন বাতিল করে পূণঃরায় নির্বাচন দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড.এম আজাদ খান। তিনি শনিবার (০১ জুন) দুপুরে তার পৌর শহরের বাসভবনে নির্বাচন উত্তর তার কর্মী-সমর্থকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি করেন।
চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন বাতিল করে পূণঃরায় নির্বাচন দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড.এম আজাদ খান। তিনি শনিবার (০১ জুন) দুপুরে তার পৌর শহরের বাসভবনে নির্বাচন উত্তর তার কর্মী-সমর্থকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি করেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে ভালো লোক নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে দলীয় প্রতিক উঠিয়ে দেন। যাতে করে মানুষ ভালো লোককে নির্বাচিত করতে পারে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আনারস প্রতিক নিয়ে চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হই। আমি অতি অল্প সময়ে চাটখিল বাসীকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।
আমার জনপ্রিয়তা দেখে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির যিনি গত ১৩ বছর ধরে আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ আকঁড়ে রেখেছেন। দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নিয়েছেন। তিনি কোন আওয়ামী পরিবারের সন্তান নয়। তিনি হাইব্রীড আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সুসময়ে তিনি দলে এসেছেন সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক হতে।
আমি বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে ১২টি মামলার আসামি হয়েছি। বহুবার হামলার শিকার হয়েছি। এই হাইব্রীড আওয়ামী লীগার অবৈধ টাকা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন কে ম্যানেজ করে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের মাধ্যমে ব্যালেটে সিল মেরে ফলাফল তার পক্ষে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২১ মে নির্বাচনের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পুরো উপজেলায় আনারস মার্কার জয়-জয় ধ্বনি দেখে জাহাঙ্গীর কবির পেশী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের মাধ্যমে ব্যালেটে সিল মারা শুরু করে। পরবর্তীতে আমি বাধ্য হয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পূনঃরায় ভোটের দাবি জানিয়েছি। এসময় তিনি বলেন, যে কয়টি কেন্দ্র জাহাঙ্গীর কবির দখল করতে পারেনি। তার কোনটিতে সে দোয়াত কলম প্রতিকে বিজয়ী হয়নি। সবগুলোতে আনারস প্রতিকে আমি বিজয়ী হয়েছি।
তিনি এব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ২১ মে তারিখের ভোট বাতিল করে পূনঃরায় ভোট দেওয়ার দাবি জানান। মতবিনিয়ম সভায় তার আনারস প্রতিকের কেন্দ্র কমিটির আহ্বায়ক যুগ্ম-আহ্বায়ক সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।