চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল বাকৃবি

মোঃ আশিকুজ্জামান প্রকাশিত: ৪ জুলাই , ২০২৪ ১২:০৭ আপডেট: ৪ জুলাই , ২০২৪ ১২:০৭ পিএম
চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল বাকৃবি
একারণে আজও বাকৃবিতে কোনো ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নি।মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল ছিলো বাকৃবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের করিডোরের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাকৃবির কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেন।

সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।  অন্যদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

একারণে আজও  বাকৃবিতে কোনো ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নি।মঙ্গলবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল ছিলো বাকৃবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের করিডোরের বিভিন্ন অংশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাকৃবির কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেন।

বাকৃবির শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিতিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হয়।অধ্যাপক ড.সাইদুর রহমান বলেন, চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। প্রত্যয় স্কীম বাতিল না হলে অথবা বিদ্যমান পেনশন স্কীম থেকে ভালো অন্য কোন স্কীম না আসা পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‘প্রত্যয় স্কিম’থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন বাকৃবির অফিসার পরিষদ।

অফিসার পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীর বলেন, আমাদের দাবিগুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয় স্কিম থেকে প্রত্যাহার, অভিন্ন নীতিমালা এবং কর্মকর্তাদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন। আমরা এসব বৈষম্য চাই না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’আজ  অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির কর্মচারীরা। এসময় তারা অর্থমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকাও আগুনে পোড়ায়।

বাকৃবির ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মোশারফ বলেন,  আমরা আগামীকাল পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবো। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও প্রশাসনিক ভবন বন্ধ থাকবে। আমরা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম।অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও র‌্যালীর আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে দুপুর ১২টায় একটি র‌্যালী বের করেন তারা।

র‌্যালীটি বাকৃবির কে.আর মার্কেটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয় এবং দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কোটা প্রথা এভাবে চলতে পারে না। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা ছাড়া আর কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। বেকার থাকলে দেশ পিছিয়ে যাবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo