কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও লুটপাটের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
বুধবার (২৮ আগস্ট) চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী নিবাসী আলী হায়দার বাদী হয়ে সিনিয়র জুড়িশিয়াল আদালতে নালিশি মামলাটি করেন।ঘটনার ১৬ বছর পর দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, চকরিয়া পৌর সভার সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন, বদিউল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কচিরসহ ৩৯ জনের নাম অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এছাড়া ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এডভোকেট মিফতা উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, অভিযোগটি আদালত আমলে নিয়ে পিআইবিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।বাদী আরজিতে উল্লেখ করেন, উপজেলার চরণদ্বীপ মৌজার ২০০ একর চিংড়ি ঘেরে সাবেক এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চিংড়ি ঘেরে লুটপাট চালানো হয়। মামলার বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক জানান, যে সময় ঘটনা দেখানো হয়েছে ওই সময়ের আগে পরে তিনি চকরিয়াই যাননি বলে জানান, ঘটনাও জানেন না। শুধুমাত্র হয়রানি ও সম্মান ক্ষুন্ন করতে আমাকে জড়ানো হয়েছে।এদিকে সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমার জীবনে কোন দিন কোন ধরনের অপরাধে জড়ায়নি। তবুও হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলেন।