জাতীয় আইডি কার্ডের ভুল সংশোধনের আবেদন করে অনলাইনে সংশোধিত কার্ড ডাউনলোড করা গেলেও জাতীয় স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে সেই পুরোনো ও অসংশোধিত কার্ডই হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দিকে ।
জাতীয় আইডি কার্ডের ভুল সংশোধনের আবেদন করে অনলাইনে সংশোধিত কার্ড ডাউনলোড করা গেলেও জাতীয় স্মার্ট কার্ড বিতরণকালে সেই পুরোনো ও অসংশোধিত কার্ডই হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দিকে ।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় আইডি কার্ড সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু থেকে শুধু উপজেলা নির্বাচন অফিসেই এ পর্যন্ত সংশোধনের আবেদন পড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার (৪৫০০) এবং সবগুলোই নিষ্পত্তি হয় । কিন্তু জাতীয় স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার পর অনেকেরই অভিযোগ নিষ্পত্তি বা সংশোধিত কার্ড কেউই পান নি । ইতোমধ্যে যা নিয়ে ভুক্তভোগীদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও নানাবিধ প্রশ্ন ।উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের লাকী আক্তার তাঁর মায়ের নাম নূরন্নাহার আক্তারের জায়গায় আক্তার বাদ দিয়ে সংশোধিত জাতীয় আইডি কার্ড ডাউনলোড করে হাতে পেলেও জাতীয় স্মার্ট কার্ডটি পান অসংশোধিত অবস্থায় । যা নিয়ে তিনি সরকারি কাজে গাফিলতির ইঙ্গিত দিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন ।কেন্দুয়া পৌরসভার তিন (৩) নং ওয়ার্ড বাসিন্দা তাহের আলম (ছদ্ম নাম) তাঁর বাবার নাম সংশোধিত করে মতিউর রহমান করেন এবং ডাউনলোড করে সংশোধিত কার্ডও পান । কিন্তু জাতীয় স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে দেখতে পান আগের নাম মতিয়র রহমান রয়ে গেছে । ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, একটি কার্ড একবার সংশোধনের জন্যে ব্যাটসহ সর্বনিম্ন দুই শত ত্রিশ (২৩০) টাকা দিতে হয়েছে । আরো প্রায় একশত (১০০) টাকা দিতে হয়েছে কম্পিউটারের দোকানে । যারা আবেদন করেছেন তাদের সবারই যদি অসংশোধিত স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়ে থাকে তাহলে এ দায়ভার কার ?এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে প্রথমে তৎক্ষনাৎ কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে ডেকে জানান, সংশোধনের পূর্বেই ডাটাবেইজটি স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিংয়ের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় । উল্লেখিত লাকী আক্তারের সংশোধিত কার্ডটি ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর