কালাইয়ে গোপনে ল্যাব সহকারী পদে চাকরি পেলেন আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী

মো: জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:৫১ আপডেট: ২৮ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:৫১ পিএম
কালাইয়ে গোপনে ল্যাব সহকারী পদে চাকরি পেলেন আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী
এই ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সঠিকতার দাবি জানিয়েছে। ভুক্তভোগী প্রার্থী মুক্তা বানু বিষয়টি জানিয়ে কালাই উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়,চলতি বছরের ১১ মার্চ শিকটা দাখিল মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও সেটি স্থানীয় জনগণের নজরে আসেনি। মাদ্রাসা বা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডেও তা টাঙানো হয়নি।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা এ.জি দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ নিয়ে এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের দাবি, মাদ্রাসার সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গোপনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা  করেছেন, যার ফলাফল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী তাজমিনা খাতুনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সঠিকতার দাবি জানিয়েছে। ভুক্তভোগী প্রার্থী মুক্তা বানু বিষয়টি জানিয়ে কালাই উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়,চলতি বছরের ১১ মার্চ শিকটা দাখিল মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও সেটি স্থানীয় জনগণের নজরে আসেনি। মাদ্রাসা বা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডেও তা টাঙানো হয়নি।

১৯ জুলাই নির্ধারিত নিয়োগ বোর্ডের দিন মোট ০৮ জন প্রার্থী মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল কাইয়ুম এবং মাদ্রাসার সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম ০৩ জন প্রার্থীকে কৌশলে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখেন এবং পরে নিয়োগের সময় জানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বিদায় করিয়ে দেন।

অভিযোগ উঠেছে, ওইদিনই বাকি পাঁচজন প্রার্থীকে উপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা হয় এবং সভাপতি মোর্শেদুল ইসলামের স্ত্রী তাজমিনা খাতুনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।শিকটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো.আব্দুল কাইয়ুম জানান,"ল্যাব সহকারী পদে প্রার্থীর যোগ্যতা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে। যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক বলে তিনি মনে করেন।”

আওয়ামী লীগ নেতা,স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মাদ্রাসার সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম জানান," ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হয়েছে। তাঁর স্ত্রী তাজমিনা খাতুন যোগ্যতার ভিত্তিতে এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন। অনেকে অপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিষয়টিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে।কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইফতেখার রহমান জানান,যদি অনিয়ম প্রমাণিত হয়,তাহলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo