কাঠালিয়ায় একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়ার আমরিবুনিয়া গ্রামে হঠাৎ-ই চুরি, ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২-৩ মাস যাবত অব্যাহত চুরি, ডাকাতির ঘটনায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে আমরিবুনিয়ার বাসিন্দাদের মাঝে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এ বিষয় বারবার অভিযোগ করা হলেও কোনোভাবেই চোরের উপদ্রব না থামায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।জানা যায়, (২৬ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাতে আমারিবুনিয়ার পার্বতী সমাদ্দার এর ছেলে পরিতোষ সমাদ্দার এর ঘরের ক্যাচিগেট ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। ঘরের ভিতরের চারটি দরজার তালা ভেঙে স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুট করে নেয়। ডাকাত দল আনুমানিক প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় গৃহকর্তা পরিতোষ সমাদ্দার ঘরে ছিল না। প্রতিবেশীরা সকালে ঘরের ক্যাচিগেট খোলা দেখতে পায়। ঘরের কাছে এসে সবগুলো দরজা ভাঙ্গা দেখতে পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়।গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে একই এলাকার পুলিন মিস্ত্রির ঘরের দরজা ভেঙে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। প্রায় ১৫-২০ দিন আগে এলাকার বল বাড়ির গণেশ বলের বাড়ির পাঁচটি তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়াও আমরিবুনিয়া গ্রামের কুদ্দুস হাওলাদারের বাড়ি ও আজাহার শিকদারের বাড়িতেও সিদ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা বলছেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভয়ে থাকি কখন কার ঘর চুরি হয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন তদারকি নেই বললেই চলে। চুরির পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা শেষে আর কোন খোঁজ থাকে না। চুরি যাওয়া মাল কয়েকদিন নিজেরা সন্ধান করে এক সময় থেমে যেতে হয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের আর কী বা করার আছে। অতি দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: ফয়সাল আহম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরিবুনিয়া গ্রামে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ব্যার্থতা রয়েছে। চোর, ডাকাতসহ সকল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলেছি। কিন্তু কোন ফল হয়নিএ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মো. সেলিম রেজা জানান, চুরি এবং ডাকাতির ঘটনায় ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। চোর ও ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।