ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ৬নং আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নে এ বছর ঝাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: বজলুর রহমান ১৫জন প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে উৎকোচ নিয়ে প্রকৃত জেলে নয় তাদের মাঝে প্রণোদনার চাল বরাদ্ধ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ৬নং আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নে এ বছর ঝাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: বজলুর রহমান ১৫জন প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে উৎকোচ নিয়ে প্রকৃত জেলে নয় তাদের মাঝে প্রণোদনার চাল বরাদ্ধ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তিভোগী জেলেগণ কাঠালিয়া মৎস্য কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ জানিয়েছেন। তারা বলেন, ১৫ মার্চ মৎস্য কার্ডের ৮০ কেজি চাল ১৫জন প্রকৃত জেলে পাননি। আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো: বজলুর রহমান উৎকোচ নিয়ে প্রকৃত জেলে নয় মধ্যে চাল বরাদ্ধ দিয়েছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায় ওই সকল জেলে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ৬ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো: বজলুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নাকচ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, “গত বছর উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে এই ওয়ার্ডে ১৯৭ জনকে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল কিন্তু এবছর ১৮০জনকে দেয়া হয়েছে, ফলে ১৭ জন জেলে বাদ পড়েছে। এব্যাপারে আমার কোনো গাফেলতি বা স্বজনপ্রীতি ছিলো না। আমি প্রকৃত জেলেদের মাঝে ওই চাল বরাদ্ধ দিয়েছি। ”
কাঠালিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, “এ বছর ওই ওয়ার্ডে গত বছর ১৯৭ জনকে চাল দেয়া হয়েছিল কিন্তু এবছর ১৮০জনকে চাল দেয়া হয়েছে। আওড়াবুনিয়ার চেয়ে শৈলজালিয়া ইউনিয়নে জেলে বেশী থাকায় সেখানে বরাদ্ধ বেশী দেয়া হয়েছে। এবং আওড়াবুনিয়ায় ইউনিয়নে কম বরাদ্ধ পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইয়াসিন তালুকদারের পুত্র বজলুর রহমান, সুজন হাওলাদারে ছেলে শহিদুল ইসলাম, রমজান আলী হাওলাদারের ছেলে মো: সুলতান হোসেন, নাজেম হাওলাদারের ছেলে মন্টু হাওলাদার চাল পাওয়ার যোগ্য। তবে মো: সুলতান হাওলাদার ও বজলুর রশিদ অসুস্থ থাকায় তারা নদীতে না যাওয়ার কারণে পায়নি কিন্তু অন্য ২জন কেন চাল পায়নি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।”
২০ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে আওড়াবুনিয়া বাজারে ৬নং ওয়ার্ডের জেলে বজলুর রশিদ, মো: জসিম খান, শহিদুল ইসলাম, লুৎপর সিকদার, মো: সুলতান হাওলাদার, মো: রিয়াজ আলী খান, জাকারিয়া সিকদার, মন্টু হাওলাদার, হানিফ হাওলাদার, ইউনুস বিশ্বাস, কবির বিশ্বাস, খলিল, বাদশা বিশ্বাস ও আবুল হাসেম জমাদ্দার একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মো: বজলুর রহমান উৎকোচ নিয়ে প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে জেলে নয় এমন লোকদের চাল বরাদ্ধ দিয়েছে যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য সাংবাদিকদের সামনে আমরা এসেছি যাতে বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। তারা আরো বলেন, বজলু মেম্বর তার পছন্দের লোকদের নিকট থেকে টাকা উৎকোচ গ্রহন করে প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে জেলে নয় তাদেরকে চাল দিয়েছে। ”