চাটখিলে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দোকান দখলের অভিযোগ

মোঃ হানিফ প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৪:৪২ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৪:৪২ পিএম
চাটখিলে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দোকান দখলের অভিযোগ
গত শনিবার বিকেলে চাটখিল পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসী আশ্রাফুল আজিম রুবেল এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে রুবেল জানান, চাটখিল পৌর শহরের সবজি বাজারে এক শতাংশ জমি তার দাদা আহম্মদ উল্যাহ পন্ডিত ১৯৪৭ সালে খরিদ সূত্রে মালিক ও দখলদার হন। ১৯৮৩ সালে ঐ সম্পত্তি তিনি তার দুই ছেলে আবুল বাসার ও জাহাঙ্গীর আলমকে রেজিষ্ট্রি করে দেন।

চাটখিল উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলা উদ্দিন ভূইয়া ও তার ভাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন ভূঁইয়া গংদের বিরুদ্ধে  চাটখিল পৌর শহরের সবজি বাজারে দোকান ঘর দখলের এবং দোকান ঘরের মালিককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত শনিবার বিকেলে চাটখিল পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসী আশ্রাফুল আজিম রুবেল এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে রুবেল জানান, চাটখিল পৌর শহরের সবজি বাজারে এক শতাংশ জমি তার দাদা আহম্মদ উল্যাহ পন্ডিত ১৯৪৭ সালে খরিদ সূত্রে মালিক ও দখলদার হন। ১৯৮৩ সালে ঐ সম্পত্তি তিনি তার দুই ছেলে আবুল বাসার ও জাহাঙ্গীর আলমকে রেজিষ্ট্রি করে দেন।

পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে আলা উদ্দিন ভূঁইয়া  গংরা ঐ সম্পত্তি  লিজ সূত্রে মালিকানা দাবি করে দখল করে নেয়। পরে সরকার বাদী হয়ে আবুল বাসার ও জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে   সরকারি খাস জায়গা দখল করার দায়ে আদালতে মামলা হয়। নিন্ম আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত আদালতের রায় আবুল বাসার গংদের পক্ষে হয়।সবশেষ ২০১৩ সালে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের রায় মোতাবেক আলা উদ্দিন ভূইয়া গং নালীশি ভূমি দখল মুক্ত করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে আমরা ঐ সম্পত্তিতে ৩টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে ভোগদখল করে আসছি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় আলা উদ্দিন, কফিল উদ্দিন গং ২০/২৫ জন লোক এনে আমার ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি লাগিয়ে বলে, এখন আমাদের সরকার, এটা সরকারি সম্পত্তি  এখন থেকে আমাদেরকে ভাড়া দিতে হবে। রুবেল গংদের ভাড়া দেওয়া যাবে না। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে, তারা আমার সাথে খারাপ আচারণ করে আমাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমি (২২ আগস্ট) চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করি। থানায় অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে, (২ সেপ্টেম্বর) আমি সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করি। সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তারা আমার কাগজপত্র দেখে বলেন, কাগজপত্রে আমি মালিক আছি সুতারাং আমার সম্পদ আমারই থাকবে। পরে সেনা কর্মকর্তা বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এতে (৩ সেপ্টেম্বর) আমি ভাড়া আনতে গেলে, আলা উদ্দিন ও কফিল উদ্দিন আমাকে মারধর করে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে। 

পরে থানার এএসআই আমজাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলা উদ্দিনদের ভাড়া না দেওয়ার জন্য বলেন। আমাদের উভয় পক্ষকে (১৪ সেপ্টেম্বর) কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলা হয়। আমরা উভয় পক্ষ থানায় গেলে, আমরা মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করলেও প্রতিপক্ষ আলা উদ্দিন গংরা কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি। এরপর থেকে আলা উদ্দিন ভূঁইয়া  গং আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে হুমকিধামকি  দিয়ে আসছে এবং আমাদের দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াদের কাজ থেকে দৈনিক ভাড়া তুলে নিচ্ছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ সকলের কাছে আমাদের দোকানঘর ফেরত পাওয়ার জন্য সহযোগিতা চাই।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo