কর্মবিরতিতে অনড় হরিজনরা, মজুর দিয়ে ময়লা অপসারণের সিদ্ধান্ত পৌরসভার

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৫০ আপডেট: ৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৫০ এএম
কর্মবিরতিতে অনড় হরিজনরা, মজুর দিয়ে ময়লা অপসারণের সিদ্ধান্ত পৌরসভার
পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার না করলে মজুর নিয়োগ দিয়ে শহরের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যশোর পৌরসভা। এক্ষেত্রে আরো একদিন অপেক্ষা করবে নাগরিক সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। পৌর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ওই সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করবে সংস্থাটি। তবে নিজেদের দাবির ব্যাপারে অনড় হরিজনরা। বুধবারও তারা শহরে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে। শহরময় মিছিল করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে তারা সমাবেশ করে। কলোনিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মজুরি নির্ধারণের দাবিতে শহরে আজও বিক্ষোভ মিছিল করবে পৌর শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি আরো জটিলতার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে।

পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার না করলে মজুর নিয়োগ দিয়ে শহরের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যশোর পৌরসভা। এক্ষেত্রে আরো একদিন অপেক্ষা করবে নাগরিক সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। পৌর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ওই সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করবে সংস্থাটি। তবে নিজেদের দাবির ব্যাপারে অনড় হরিজনরা। বুধবারও তারা শহরে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে। শহরময় মিছিল করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে তারা সমাবেশ করে। কলোনিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মজুরি নির্ধারণের দাবিতে শহরে আজও বিক্ষোভ মিছিল করবে পৌর শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি আরো জটিলতার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে।

বুধবার দুপুরে পৌরসভার হল রুমে সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময়ে পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ বলেন, হরিজনরা কোনো কথা না শুনে আন্দোলন করছে। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে; পরিশোধ না করলে প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরসভার চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ  হয়ে যাবে।তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প থেকে যশোর পৌসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য যশোরে দুটি ৭তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এতে রাজি না হওয়ায় ভবন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

মেয়র বলেন, হরিজনদের আবাসিক স্থানের বিদ্যুৎ বিল পৌরসভাকে পরিশোধ করতে হবে; এমন কোনো প্রতিশ্রুতি পৌরসভার পক্ষ থেকে দেয়া ছিল না। এমনকি এরকম কোনো চুক্তিও নেই। তাদের  আবাসস্থলে পানির ফ্রি ব্যবস্থা চালু আছে।মেয়র আরো বলেন, হরিজন পল্লিতে বসবাসকারীরা সবাই পৌরসভায় চাকরি করেন না। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এমন অনেকে সেখানে বসবাস করে। তারাও বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। পৌরসভার জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত কলোনির বিদ্যুৎ বিল পৌরসভার  পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়নি। শুধুমাত্র এরশাদ সরকারের আমলে সরকারিভাবে  পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ৩টি হরিজন কলোনিতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।  বর্তমান পরিষদ ২ ধাপে বেতন বৃদ্ধি করেছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দৈনিক হাজিরা ১’শ টাকা। তারা কাজ করে ১ ঘন্টা।প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, হরিজনদের চাওয়া পাওয়ার দাবি বেড়ে গেছে। এর আগে তারা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছে। এখন তারা বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের দাবিতে আন্দোলন করছে। তিনটি হরিজন কলোনির বিদ্যুৎ বিল পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।

তিনি বলেন, প্রিপেইড মিটার লাগানো হবে। কিন্তু হরিজনরা সেটা ব্যবহার করতে চায় না। অনেকই কাজ না করে বেতন নেয়। পৌরসভাকে জিম্মি করতে চায় তারা। সেটা করতে দেয়া হবে না। তাদের একদিন সময় দেয়া হয়েছে। একদিন পর যদি তারা কাজ শুরু না করলে লেবার নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শরীফ হাসান বলেন, দুটি ৭ তলা ভবন নির্মাণে তারা বাধা দিচ্ছে। ভবন নির্মাণের নামে তাদের উচ্ছেদ করা হবে বলে তারা এমনি করছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে ”ূড়ান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।পৌর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরন লাল সরকার জানান, মজুরি নির্ধারণ ও বৈদ্যুতিক সংযোগের দাবিতে শহরে আজ বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo