কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার চান্দপুর বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এক হিংস্র দপ্তরির কামড়ে প্রধান শিক্ষক রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যেকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, চান্দপুর বড়বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিরাজ কিশোর দেবনাথের ওপর হামলা করেছে একই বিদ্যালয়ের দপ্তরি ও নৈশপ্রহরী মনির খান। এ সময় কামড়ে রক্তাক্ত করা হয় শিক্ষকের বাম হাত। হামলার শিকার হওয়া প্রধান শিক্ষক বিরাজ কিশোরী কটিয়াদি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল চারটায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে দুজন সহকারী শিক্ষকের সামনেই এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) প্রধান শিক্ষক বিরাজ কিশোর দেবনাথ জানান, মনির খানকে দাপ্তরিক কাজের কথা বললে প্রায় সময় সে অনীহা প্রকাশ করে। কাজ না করে উল্টো তর্ক করে। বুধবার মনির খানকে অফিসে ব্যবহৃত প্রিন্টারটি সঠিক জায়গায় রাখতে বলেছিলাম। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় মনির। তাৎক্ষণিক সে উত্তেজিত হয়ে আমার বাম হাত কামড়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। শুধু তাই না, আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) কটিয়াদি শিক্ষা অফিস ও কটিয়াদি থানাতে লিখিত অভিযোগ দেন ওই প্রধান শিক্ষক৷
অভিযুক্ত মনির খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বদমেজাজি শিক্ষকের হাত থেকে বাঁচতেই আমাকে ধরে রাখলে তার বাম হাতে কামড় দিয়েছি।
চান্দপুর বড়বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার জানান, দপ্তরি মনির খান উশৃংখল এবং বদমেজাজি প্রকৃতির লোক। তাকে দিয়ে আমরা স্কুলের কোন কাজ করাতে পারি না। স্যারের কাজ শেষে প্রিন্টারটা নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে বলায় স্যারের সাথে গালাগালির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে।
এবিষয়ে কটিয়াদি উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনাটির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির মিটিং করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছি। আগামী রোববার অভিযুক্তের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে `অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।