যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফরম পুরণ কার্যক্রম। এজন্য বোর্ড থেকে ফরম পুরণের টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়ামত এলাহী। অথচ মিউনিসিপা। প্রিপারেটরী স্কুলে ফরম পুরণের আগে কোচিংয়ে ৪ হাজার ৫ শ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, অনলাইনে বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পুরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ ডিসেম্বর রোববার থেকে। এটা চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফি জমা দেয়ার শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর। এরপর বিলম্ব ফিসহ ফরম পুরণের সময় ১১ থেকে ১৪ ডিসিম্বর পর্যন্ত। প্রতি পরীক্ষার্থীর ১০০ টাকা বিলম্ব ফি জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর। পরীক্ষার নির্ধারিত ফি হচ্ছে বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ২৪০ টাকা। এর মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৭২৫ টাকা কেন্দ্র ফি ৫১৫ টাকা। মানবিক ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা। এর মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৬৩৫ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৮৫ টাকা।এসব টাকার মধ্যে রয়েছে, নিয়মিত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ফি পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিক ফি পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রাস্টক্রিপ ফি ৮০ টাকা, মুল সনদ পত্র ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ১৫০ টাকা, স্কাউট গার্লসগাইড ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ২৫ টাকা, অনিয়মিত পরীক্ষর্থী ও জিপিএ মান উন্নয়ন পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ফি টাকা একই। শুধু অনিয়মিত ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, জিপিএ মান উন্নয়ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনুমতি ও তালিকাভুক্ত ফি পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ কাটা নেয়া যাবে।পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশনচার্জ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে। কোন পরীক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির সর্বমোট ২৪ মাসের বেশি বেতন ও সেশনচার্জ নেয়া যাবে না।এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফি -এর অতিরিক্ত ফি কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না। এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২০২৩-২০২৪ সালের রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়ামত এলাহী জানান, কোন বিদ্যালয় যদি বোর্ডের নির্ধারিত ফিসে চেয়ে বেশি টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে। এমন অভিযোগে পেলে ওই প্রতিষ্ঠানকে বিধি মোতাবেক শোকজ করা হবে। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকন অভিভাবক জানান মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী স্কুলে ফরম পুরণের সময় কোচিংয়ে জন্য ৪ হাজার ৫শ টাকা করে নেয়া হয়েছে। যেসব পরীক্ষার্থী এ টাকা দেয়নি, তার পরীক্ষা ফরম পুরণ করতে বিপাকে পড়তে হয়েছে।বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান বলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।