এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ করা যাবে না

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী , ২০২৪ ১০:৩৮ আপডেট: ২৫ জানুয়ারী , ২০২৪ ১০:৩৮ এএম
এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায়  বিষয় ভিত্তিক কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ করা যাবে না
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা। এ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নদল মুক্ত পরিবেশে পরিচালনার লক্ষে বুধবার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেন্দ্র সচিবদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, স্কুল ও মাদ্রাসা উভয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কিন্দ্র সচিব ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী হবেন। উপরোক্ত সিদ্ধান্তে বিপরীতে বিশেষ প্রয়োজনে ভেন্যূ পরিবর্তনের আবশ্যকতা হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা কমিটিকে অবহিতকরণ সাপেক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা। এ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নদল মুক্ত পরিবেশে পরিচালনার লক্ষে বুধবার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কেন্দ্র সচিবদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, স্কুল ও মাদ্রাসা উভয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক  ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কিন্দ্র সচিব ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী হবেন।  উপরোক্ত সিদ্ধান্তে বিপরীতে  বিশেষ প্রয়োজনে ভেন্যূ পরিবর্তনের আবশ্যকতা হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা কমিটিকে অবহিতকরণ সাপেক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যেসংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের নির্দশনা অনুসরণ করতে হবে। কেন্দ্রের নিজস্ব বিদ্যালয়ে  পরীক্ষার্থী নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে পারবে না। আসন ব্যবস্থার এক বা একাধিক কপি পরীক্ষা কেন্দ্রে টাঙ্গিয়ে দিতে হবে। বোর্ডের অনুমতিক্রমে কোন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী সেরিব্রারপালসি জনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী  শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে চাইলেতার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রুতিলেখক অষ্টম শ্রেণির হতে হবে। প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া কোন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেয়া যাবে না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রশ্ন প্যাকেট খুলতে হবে। কেন্দ্র সচিব বা হল সুপার ব্যতিত কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি কোন কক্ষ পরিদর্শকও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হারবে না। বিষয় ভিত্তিক কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ করা যাবে না। যে স্কুল বা মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী যে কক্ষে পরীক্ষা দেবে, ঐ কক্ষে সংশ্লিষ্ট  প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শক নিযুক্ত করা যাবে না। নিয়মের বাত্যয় ঘটলে কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।খাতার বান্ডিলে কেন্দ্রে নাম লেখা যাবেনা।

পরীক্ষা শেষে কোন অবস্থাতেই উত্তর পত্রের বান্ডিল কেন্দ্রে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে ট্রেজারিতে বা    সেখানে উত্তর পত্র সংরক্ষিত আছে সেখানে রাখতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্ব স্ব উপজেলায় র পরীক্ষা কেন্দ্রে সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এ ক্ষেত্রে তারা  প্রয়োজনে  উপজেলাধীন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সহযোগিতা নিতে পারেন। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলার জন্য প্রযোজনী পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করবে পুলিশ সুপার। জরুরী স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করবে সিভিল সার্জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলা তদারকির জন্য  জেলা প্রশাসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করবেন এবং ভিজিলেন্স টিম গঠন করবে।

যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি খালেদতা খাতুন রেখা, জেলা শিক্ষা অফিসার মসাহফুজুল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত ইয়াসমিন, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ, পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোতোষ কুমার নন্দী,নিউটাউন বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক এসএম রবিউল আলম, নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া শিরিন, মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান, রুপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক জহুরুল পারভেজ, ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ, সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি সরকার, জেলা প্রশাসক অফিসের শিক্ষা শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাফর ইকবালসহ ৮০ জন কেন্দ্র সচিব উপস্থিত ছিলেন।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo