ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ জীবিকা নির্বাহে চিন্তিত ভোলার জেলেরা।

মোঃ মাকসুদ আলম প্রকাশিত: ১ মার্চ , ২০২৫ ১৫:০৬ আপডেট: ১ মার্চ , ২০২৫ ১৫:০৬ পিএম
ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ জীবিকা নির্বাহে চিন্তিত ভোলার জেলেরা।
ভোলার দেড় লাখের বেশি জেলে আগামী দুই মাস কীভাবে বেঁচেবর্তে থাকবেন, তা নিয়ে কোনো ভাবনাচিন্তা কি নীতিনির্ধারকদের আছে?

ভোলার দেড় লাখের বেশি জেলে আগামী দুই মাস কীভাবে বেঁচেবর্তে থাকবেন, তা নিয়ে কোনো ভাবনাচিন্তা কি নীতিনির্ধারকদের আছে? ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মার্চ-এপ্রিল এখানকার অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় মাছ বহন, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয়ও নিষেধ। একদিকে মাছ ধরা বন্ধ, অন্যদিকে শাস্তির ভয়’ তাহলে এই দুই মাস তাঁদের সংসার চলবে কীভাবে? সামনে রমজান এবং ঈদুল ফিতর, কীভাবে কাটবে জেলেদের এবারের ঈদ!
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা দুটি অভয়াশ্রমে গত বৃহ¯পতিবার (১লা মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা থেকে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। অক্টোবর মাসে মা ইলিশ যে ডিম ছেড়েছিল, তা থেকে যে জাটকা ইলিশ হয়েছে, সেগুলো যাতে নিরাপদে সাগরে ফিরে যেতে পারে, তার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এই পদক্ষেপের বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তার বিকল্প কী আছে?
এ তো গেল কাগজ-কলমের পরিসংখ্যানের হিসাব-নিকাশ। প্রকৃত বাস্তবতা আরও রূঢ়। জেলেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের জন্য যে চাল বরাদ্দ হয়, তার একটা অংশ নয়ছয় হয়। কিছু কিছু ইউনিয়নে ইউপি সদস্যরা জেলে ছাড়াও অন্য পেশার দলীয় ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও তাঁদের স্বজনদের চাল দিচ্ছেন। তাঁরা এ অবস্থার অবসান চান। সরকারি সহায়তা না পেয়ে অনেক জেলে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালান। তাঁরা এ সময় ঋণের কিস্তি শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন। নদীমাতৃক দেশ হিসেবে জেলেদের প্রয়োজন রয়েছে।জেলেদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় মর্জি একান্ত দরকার। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo