নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার বৃ-কুষ্টিয়া দারুল হাদীস সালাফিয়া ও তাহফিযুল কুরআন মাদরাসার বালিকা শাখার নতুন ভবন উদ্বোধনে তিনি একথা বলেন।
গত ১৯ এপ্রিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া সুপারিশমালাকে ‘ভয়ংকর’ ও ‘ঈমান বিধ্বংসী’ হিসেবে উল্লেখ করে ড. গালিব বলেন, ‘এই দেশের ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান। তাদের ঈমান-আক্বীদাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কুরআনী উত্তরাধিকার আইন ও পারিবারিক আইন পরিবর্তনের সুপারিশ সরাসরি ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত।’’
তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি সম্মানে আছেন তবে কুরআনের আইন পরিবর্তন করতে চাইলে ধবংস হয়ে যাবেন। সাবধান একাজ করবেন না। কুরআনের একটি বিধান কেন একটি হরফও পরিবর্তন করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, ‘‘মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের দুর্নীতি ও অনিয়ম সংস্কারের জন্যই আপনাদের দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সেই সংস্কার যদি পশ্চিমা ও নাস্তিক্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা হয়, তবে তা হবে জনগণের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।’’
‘‘পতিতাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ জঘন্য অপরাধকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার ষড়যন্ত্র বলে তিনি উল্লেখ করেন। এটি এ দেশের সমাজব্যবস্থার জন্য ভয়াবহ হুমকি।’’ সেই সঙ্গে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ইমান ও আকিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান। নারীদের ইসলামী শিক্ষা জোরদারের পাশাপাশি আহলেহাদীছ নারীরা যেন কথিত নারীবাদীদের প্রতিনিধি না হয়ে আগামী দিনে ইসলামের প্রতিনিধি, আহলেহাদীছ নারীদের প্রতিনিধি হন সে দাবি জানান।