উপজেলা প্রতিনিধি,ঝিনাইদহ
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সংঘর্ষের ফলে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাট, আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ থেকে ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাসহ সব রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
মিছিলটি প্রেরণা একাত্বর চত্বরে গিয়ে সমাবেশ হয়। পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা, তাদের দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বাস মিনিবাস মালিক সমিতি, চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচীতে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু, মোহাম্মদ আলী কানু, সাবেক সদস্য ওহিদুল আলম খান, আব্দুল কুদ্দুস, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক নয়ন আহম্মেদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার কালীচরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সদর উপজেলা প্রশাসন ও তথ্যকেন্দ্র। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম।
বার বার তাগাদা দিলেও বাড়তি টাকা চাওয়ায় পিছিয়ে যেতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেডের ঝিনাইদহ টাউন বর্ডার স্টেশনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী ব্যাবস্থাপক মীর মোবাশ্বের আলী মিন্টু জানান, বিগত ২০০৯ সালে গোটা দক্ষিানাঞ্চলে গ্যাস লাইন স্থাপনের প্রস্তাব পাশ হয়।
মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, শাখা কর্মকর্তা কাজী মহসিনসহ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানান, খালের গাছ নষ্টের ঘটনায় তারা শৈলকুপা থানায় মামলা জমা দিয়েছে।