উপজেলা প্রতিনিধি,ঝিনাইদহ
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের ফেলে যাওয়া দলবাজ উচ্ছিষ্ঠ প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্রের কাছে এ সরকার মাঝে মাঝে অসহায় বোধ করছে। তাদের এই ছোট ছোট ঝড়যন্ত্র এক সময় মহা বিপদ ডেকে আনবে। তাই এদের অপসারণ করতে হবে।
মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার সাধুহাটি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-ফরিদপুর জেলার সালতা থানার বড় কাউনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনিছুর রহমান (৬০) ও একই উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের ফারুক মাতুব্বর (৪২)। আহত অপরজন একই উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের মতিয়ার রহমান। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে,মৃতরা হলেন-ওই গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে আঙ্গার আলী (৬০), তার ভাইবৌ হাসিনা খাতুন (৫৫) ও ভাতিজার স্ত্রী রেশমা খাতুন (৪০)ঝিনাইদহ ফায়ার ¯স্টেশনের কর্মকর্তা তানভীর হাসান জানান, গত দুদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে সুড়াপাড়া গ্রামের কৃষক আঙ্গার আলীর বাড়ির পেছনের পেঁপে গাছ ভেঙ্গে যায়।
তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মদদ দেওয়া, হাসপাতালের খাবার ও কেনাকাটায় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও টেন্ডারবাজীর অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলামকে একাধিকবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা সতর্ক করেন। রোববার হাসপাতাল এলাকায় সাইকেল স্ট্যান্ডের ইজারা বাবদ এক নারী ঠিকাদারের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করেন।
নিহত রুহুল আমিন যশোর সদর উপজেলার পরানপুর গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে। তিনি এসএস অফিস এনজিওর ঝিনাইদহ শাখায় ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সকালের দিকে মোটরসাইকেলে রুহুল আমিন ঝিনাইদহ শহর থেকে যশোরের দিকে যাচ্ছিলেন।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঝিনাইদহসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলার শত শত মানুষের। দ্রুত এসব সংকট সমাধান করে হাসপাতালটি পুরোদমে চালু করার দাবী স্থানীয়দের।বিগত ২০০৫ সালের ৭ মে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের বাস টার্মিনাল এলাকায় ২৫ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে বছরের পর পর বন্ধ থাকে হাসপাতালটি।
এতে জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।ঝিনাইদহের ট্রাফিক পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘জেলার ৬ উপজেলার ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমাদেরকে শিক্ষার্থীসহ রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা সহযোগিতা করছে।’
মিছিলটি শহরের ওয়াজির আলী হাই স্কুল মাঠ থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এমএ মজিদ, সাধারন সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।