জেলা প্রতিনিধি, ভোলা
এছাড়াও গত বুধবার (১৯ জুন) তজুমউদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় খেলার মাঠ, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় ইউপির পাকার মাথা এলাকায় বসতবাড়ির পাশের জালের সঙ্গে প্যাঁচানো অবস্থায় একটি রাসেল ভাইপার উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জালু মাঝির বসতঘর, রোববার (১৬ জুন) লালমোহনের লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউপির সৈয়দাবাদ এলাকায় একটি বাড়ির বাথরুমে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও সাগর উপকূল উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে আরো ৫টি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপগুলোকে মেরে ফেলেন। এর মধ্যে তজুমউদ্দিন উপজেলায় পাওয়া একটি সাপ বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে সর্বসাধারণের মাঝে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শান্তির হাট এলাকার চায়না ইপিজেড সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাসেল ভাইপারটিকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। ওই সময় স্থানীয় লোকজন সাপটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে জালু মাঝির বসতঘরে খাটের নিচে তিনটি বিড়াল মৃত অবস্থায় দেখেন ঘরের লোকজন। পরে ঘরের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপারকে বের হতে দেখেন। এই দৃশ্য দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন এসে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। পরে জানতে পারেন সাপটি বিষধর রাসেল ভাইপার।
ভোলার খালের আড়ৎদার মোঃ আলমগীর হোসেনের আড়ৎ-এ তোলা হলে নিলামে মাছটি শরীফ বেপারি ৭ হাজার ২শ’ টাকায় কিনে নেয়।কামাল মাঝি বলেন, নদীতে কোন মাছ নাই, ৬ জন বাগি নিয়ে ৩ দিন আগে নদীতে গেছি যে মাছ পাইছি তাতে বাজার খরচও হয়নি, তার ভিতরে আল্লাহ এই মাছটি দিছে বিক্রি করে ৭ হাজার টাকা পাইছি।
ভোলা জেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১২২০ সালের দিকে ভোলায় প্রথম চর জাগতে শুরু করে। প্রায় ১০০ বছর পর, ১৩০০ সালের দিকে এখানে চাষাবাদ শুরু হয়। ১৩৩৫ সাল নাগাদ দক্ষিণ শাহবাজপুরে (ভোলার আদি নাম) বসতি স্থাপন শুরু হয়।শাহবাজপুর ছাড়াও আশপাশের নদীতে জেগে ওঠে নতুন নতুন অসংখ্য চর। তখন থেকে শুরু হয় মহিষ লালন-পালন। সেখান থেকেই মহিষের দুধের কাঁচা টক দধির প্রচলন। তা ধীরে ধীরে নাম যশে বাড়তে থাকে এর চাহিদা। বর্তমানে সারাবছরই কাঁচা বৈষা দইয়ের চাহিদা থাকে। এখানকার অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপাদান এটি। এ টক দধি গুড়,মিষ্টি অথবা চিনি দিয়ে খাওয়া যায়। এ ছাড়াও এ দুধের ছানার রসগোল্লা, রসমালাইয়ের স্বাদও অতুলনীয়। এ টক দধি সব সামাজিক, পারিবারিক ও ঘরোয়া অনুষ্ঠানে থাকতেই হবে। এ যেন এক ঐতিহাসিক রীতিনীতি। খাবার হজমে, ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় কাঁচা দুধের দধি উপকারিতা রয়েছে। এ ছাড়াও, এই দই অধিক পরিমাণ প্রোটিন সমৃদ্ধ।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গ্যাস নিয়ন্ত্রণ আনেন। শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় দৌলতখান পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের আইচ ফ্যাক্টরিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহতরা বরিশাল, ভোলা, দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জ্যৈষ্ঠ মাসে লিচুর মতো সুস্বাদু ফলে ভরে ওঠে বাজার। শুরু হচ্ছে এই রসালো ফলের মৌসূম। সপ্তাহখানেক পরে বাজারে আসবে পরিপক্ব লিচু। তবে এরই মধ্যে ভোলার বাজারগুলো ছেয়ে গেছে টক-মিষ্টি স্বাদের অপরিপক্ব লিচুতে। বুধবার ভোলার চকবাজার ও নতুন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে পড়েছে কয়েক শত গাছপালাসহ বিদু্যুতের খুটি। এ সময় ঘর চাঁপায় ও বজ্রপাতের আঘাতে মোঃ হারিছ (৭০) ও বাচ্চু (৩৫) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে জেলার মনপুরা, লালমোহন,বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এ ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মুখভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও লালমোহন। দুই উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় দুই শত ছোট বড় গাছপালা সহ উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাছাড়া বিদ্যুতের তার ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ উপরে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।