ঢাকা আরিচা মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদাবাজির সময় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের আর এস টাওয়ারের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় আরো কয়েকজন সহযোগী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসব চাঁদাবাজ সাভারের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে চলমান যানবাহন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছিল।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদাবাজির সময় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের আর এস টাওয়ারের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় আরো কয়েকজন সহযোগী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসব চাঁদাবাজ সাভারের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে চলমান যানবাহন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছিল।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রুবেল হোসেন।গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার জিরানী এলাকার আমিনুর হক সরোয়ারের ছেলে শামীম সুলতান (২১), সাভার পৌরসভার জামসিং এলাকার আমিনুর ইসলাম সেলিমের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম অলি (২০) ও শাহিবাগ এলাকার মৃত হাসান মাসুদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জিসান (২০)।
চাঁদাবাজ গভীর রাতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা রাজধানী মুখী মুরগীবাহী ট্রাক, চাল-ডাল-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। পুলিশের অভিযানকালে কয়েকটি লাঠি, চাঁদা তোলার রশিদ, ভাউচার, টোকেন ও চাঁদার নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এসব সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ লাঠি সোটা নিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, মাছবাহী ট্রাক, মুরগীবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছিল। চাঁদা না পেলে তারা গাড়ি ভাঙচুর করছিল। চালকদের আটকে রেখে মারধরও করে আসছিল তারা। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তিন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পেছনে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।