সাইকেল চাই না, আমার বাবার লাশটা চাই

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ২৫ জুন , ২০২৪ ১৪:০৯ আপডেট: ২৫ জুন , ২০২৪ ১৪:০৯ পিএম
সাইকেল চাই না, আমার বাবার লাশটা চাই
বাবাকে একনজর দেখার আকুতি জানিয়ে শিশু আবির আরো বলে, আমি বড়। আমার ছোট দুই ভাই ও মা আছে। আমি মাদ্রাসায় পড়ি। আমার বাবা সৌদিতে মারা গেছে। এখন আমার মাদ্রাসার খরচ কে দেবে? আমাদের দেখার মতো কেউ নাই। আপনারা আমার বাবাকে একটা নজর দেখার ব্যবস্থা করে দিন।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম খৈয়ার ভাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল হক মাতুব্বরের ছেলে মিলন মাতুব্বর (৩৫) পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য ৫ বছর আগে সৌদি আরবে যান । পরিবারে ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন মেঝ। সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের হালুজারায় থেকে কাজ করে আসছিলেন সে। কিন্তু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেনি মিলন। সৌদির আকামাসহ নিজ খরচ শেষে কোন রকম টেনেটুনে সংসারের খরচ চালাতেন সে। মিলন গত ১৮ জুন রাতে সৌদি আরবে বসবাসরত বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন । পরে তাকে একই সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন তিনি অবস্থায় মারা যান ।গতকাল রোববার দুপুরে সৌদি থেকে তার পরিবারের কাছে মৃত্যুর খবর পৌঁছালে স্বজনদের মাঝে আহাজারি শুরু হয়ে যায়।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম খৈয়ার ভাঙ্গা গ্রামের নিহত সৌদি আরব প্রবাসী মিলন মাতুব্বর (৩৫) এর ৯ বছর বয়সী ছেলে আবির মাতুব্বর কান্না করতে করতে এ কথাগুলো বলছিল, বাবার কাছে একটি সাইকেল চেয়েছিলাম, বাবা আমাকে কিনে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন আর সাইকেল চাই না। আমি শুধু আমার বাবাকে শেষ বারের মতো একটু দেখতে চাই। আমার বাবার লাশটা দেখতে চাই।

বাবাকে একনজর দেখার আকুতি জানিয়ে শিশু আবির আরো বলে, আমি বড়। আমার ছোট দুই ভাই ও মা আছে। আমি মাদ্রাসায় পড়ি। আমার বাবা সৌদিতে মারা গেছে। এখন আমার মাদ্রাসার খরচ কে দেবে? আমাদের দেখার মতো কেউ নাই। আপনারা আমার বাবাকে একটা নজর দেখার ব্যবস্থা করে দিন।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম খৈয়ার ভাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল হক মাতুব্বরের ছেলে মিলন মাতুব্বর (৩৫) পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য ৫ বছর আগে সৌদি আরবে যান । পরিবারে ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন মেঝ। সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের হালুজারায় থেকে কাজ করে আসছিলেন সে। কিন্তু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেনি মিলন। সৌদির আকামাসহ নিজ খরচ শেষে কোন রকম টেনেটুনে সংসারের খরচ চালাতেন সে। মিলন গত ১৮ জুন রাতে সৌদি আরবে বসবাসরত বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন । পরে তাকে একই সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন তিনি অবস্থায় মারা যান ।গতকাল রোববার দুপুরে সৌদি থেকে তার পরিবারের কাছে মৃত্যুর খবর পৌঁছালে স্বজনদের মাঝে আহাজারি শুরু হয়ে যায়।

নিহত মিলনের প্রতিবেশী রুহুল আমিন ও কেরামত আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, মিলন কয়েক লাখ টাকার দেনা রয়েছে। তবে তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা চাই সরকার যেন মিলনের লাশটি দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন। আমরা অন্তত দেশের মানুষ যেন তাকে দাফন করতে পারি।নিহত মিলনের স্ত্রী জানান, আমাদের দেখার মতো কেউ রইলো না। আমাদের ৩ জন শিশু ছেলেকে এখন কে দেখবে?আমরা প্রায় ২০ লাখ টাকার দেনা। এই দেনা কিভাবে শোধ করবো। আমার স্বামীর লাশটা দেখতে চাই। কিন্তু সৌদি থেকে টাকা খরচ করে লাশ দেশে আনার সামর্থ্য আমাদের নাই। সরকারের কাছে দাবি আমার স্বামীর লাশটা যেন দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন।

শেষ বারের মতো ছেলের লাশটি দেখতে একইভাবে সকলের কাছে আকুতি জানান নিহত মিলনের মা ও বাবা।এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা ঢাকায় যোগাযোগ করে লাশটি দেশে আনার চেষ্টা করবো। তবে আর্থিক সহযোগিতা করার মতো আমাদের কাছে কিছু নেই।কিন্তু আবেদন করলে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করবো।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo