মাগুরা জেলার অন্যান্য উপজেলার মতো শালিখা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর ইরিবোরো মৌসুমে ধানের ব্যাপক ফলন বেড়েছে। এই বাম্পার ফলন হওয়ার প্রধান কারণ কৃষকরা সার ডিলারদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে চাহিদা মত সার পেয়েছে। ন্যায্য মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার কৃষকের কাছে বিক্রি করেছে সারের ডিলাররা।ফলে সারের কোন ঘাটতি হয়নি। এছাড়া ধানে তেমন কোন পোকাও লাগেনি। যে প্রাকৃতিকভাবে দুর্যোগ হয়নি। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দিতেন কিভাবে ধান পোকামুক্ত ও উৎপাদন বেশি হবে। উপজেলার শালিখা, গঙ্গারামপুর, বুনাগতি,আড়পাড়া, শতখালি, ধনেশ্বরগাতি, সিংড়া বাজার সব ভিন্ন বাজারের সারের ডিলাররা সময়মতো ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের ও খুচরা বিক্রেতাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে এ বছর সার দিয়েছে। উপজেলার কোন জায়গায় স্যারের সংকট বা বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। হরিশপুর বাজারের বিএডিসি সার ডিলার মোহাম্মদ হুমায়ুন মোল্লা বলেন, ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের আমরা সার দিয়েছি। এছাড়া ধানে বিভিন্ন রোগের ব্যাপারেও আমরা পরামর্শ দিতাম। আমাদের ছাড়াও সিনজেনটা, মেট্রোকম সহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরাও কৃষকদের পরামর্শ দিতেন। এবছর উপজেলায় হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। উপসহ কারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু দাস বলেন, বর্তমানে ৩৩ শতকে এক বিঘায় মোটা ধান প্রায় 25/26 মন হয়েছে, চিকুন ধান বিঘায় প্রায় ২২ মন হয়েছে। চিকন একমন ধানের দাম ১৪৫০ টাকা/১৫০০টাকা, এবং মোটা ধান ১৩০০ টাকা। খরচ খরচা বাদে বিঘায় কুড়ি হাজার টাকা লাভ হতে পারে বলে অনেকেই বলেন।