লালমনিরহাটের আদিতমারিতে শিশু অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

রশিদুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৬:২১ আপডেট: ১৬ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৬:২১ এএম
লালমনিরহাটের আদিতমারিতে শিশু অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের শিশু সামিউল ইসলামকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারী একটি চক্র। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী। অপহৃত শিশু সামিউল উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের রসুল পাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের শিশু সামিউল ইসলামকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারী একটি চক্র। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী। অপহৃত শিশু সামিউল উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের রসুল পাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটলে ছেলে সামিউলকে তার দাদা মোক্তার হোসেনের কাছে রেখে ঢাকার নারায়ণগঞ্জে কাজে যান স্বপন মিয়া। সেখানে পরিচয় হয় মামুন নামে নীলফামারীর এক ছেলের সঙ্গে। একপর্যয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন স্বপনকে ঝামেলায় ফেলার হুমকি দেন মামুন মিয়া।

কিছুদিন আগে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরেন মামুন ও স্বপন। যে যার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তারা। গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে পারিবারিক কাজে লালমনিরহাট যান স্বপন মিয়া। এ সময় তার ছেলেকে বাড়ির উঠানে খেলতে দিয়ে পাশের বাজারে যান স্বপনের বাবা মোক্তার হোসেন। ফিরে এসে দেখেন শিশু সামিউল ইসলাম বাড়িতে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার।

পরে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে শিশু সামিউলের বাবা স্বপনের ব্যবহৃত নম্বরে ফোন আসে মামুনের ০১৭৩৭১১৮১৯১ নম্বর থেকে। সেখানে বলা হয়, শিশু সামিউল তার কাছে আছে অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেতে দুই লাখ টাকা পাঠাতে হবে। অন্যথায় শিশু সামিউলকে পাওয়া যাবে না বলেই ফোন কেটে দিয়ে অফ করে রাখে।

এ ঘটনায় ওই নম্বরটি উল্লেখ করে মামুনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সামিউলের বাবা স্বপন মিয়া। অভিযোগ দায়েরের পরে রোববার (১৪ জানুয়ারি) পুনরায় ফোন করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে মামুন।

অপহৃত শিশু সামিউলের বাবা স্বপন মিয়া বলেন, ফোন করে দুই লাখ টাকা পাঠাতে বলেছে। নয়তো আমার ছেলের ওরা (মামুন) ক্ষতি করবে। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও রোববার ফোন করে টাকা পাঠাতে বলেছে। নয়তো তারা আমার ছেলেকে ছেড়ে দেবে না।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo