যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়, দেশে অস্থিরতা তৈরি করে তাদের ‘রাজনৈতিক দল’ বলা যায় না। তাদের ভূমিকা রাজনৈতিক দল নয়, বরং প্রেসার গ্রুপের মতো। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রবিবার (১৩ জুলাই) বিকালে নগরীর মুরাদপুর শিক্ষা বোর্ড সংলগ্ন এলজিইডি ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবদুস সাত্তার, বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আবদুল্লাহ আল নোমানের রাজনৈতিক জীবনের প্রশংসা করে আমীর খসরু বলেন, নোমান ভাই ছিলেন মাঠের রাজনীতিবিদ। পর্যায়ক্রমে ওঠে আসা নেতা, নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে, সুসময়ে-দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকে দেশ-জাতির খেদমত করা, দলকে সম্মুন্নত রাখা, আন্দোলনে সংগ্রামে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নেতৃত্ব দেওয়া, দেশের উন্নয়নে কাজ করা; যেটা একজন রাজনীতিবিদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আব্দুল্লাহ আল নোমানের সেই গুণাবলী ছিল। বাংলাদেশে এখন নোমান ভাইয়ের মতো নেতা খুবই কম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের হাত ধরেই আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে গিয়ে তিনি কমিটি করে দিতেন। বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটি দল তারেক রহমানকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। যারা নির্বাচনে পরাজিত হবে জানে তারাই এই নির্বাচন চায় না। তবে ওদের উসকানিতে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা, আমাদের সবার অভিভাবক। চট্টগ্রামে ৮০ র দশকে যখন শহীদ জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পরে বিএনপি অনেকটা দূর্বল হয়ে গিয়েছিল। তখন বিএনপিকে পুনর্জাগরণ করেছিলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের পরে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। নাজিমুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নোমান ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা।বিএনপির রাজনীতিতে তিনি চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন। এতে উপস্তিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, কাজী বেলাল উদ্দিন, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, শওকত আলম খাজা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এম. এম হান্নান, এস. এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, ইসকান্দর মির্জা, মুজিবুল হক, মো. সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ শিহাব উদ্দীন আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. জাফর আহম্মদ, গাজী আইয়ুব, এম এ সবুর, মোহাম্মদ আবু মুসা, হানিফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম, মো. আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু ইউছুপ, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওলামাদলের আহবায়ক মাওলানা শহীদ উল্লাহ চিশতী প্রমূখ।