যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৭তলা ভবনের লিফট অকেজো হয়ে গেছে। বোর্ডের কর্মকর্তা ,কর্মচারী ও বোর্ডে সেবা নিতে আসা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে দুর্ভোগে। বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, ২০০৫ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের জার্মানির লিফট স্থাপন করা হয়।
এতে ব্যায় হয় ২৫ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান লিফট স্থাপনের পর থেকে সঠিক সার্ভিস দেয়নি। মাসে এক দুই বার নষ্ট হয়েছে।বোর্ড থেকে সেটি আবার চালু করা হয়েছে। তবে এমাসে শেষে দিকে লিফট একে বারে নষ্ট হয়ে গেছে। ৭তলা ভবনে রয়েছে বিদ্যালয়, কলেজ, ক্রীড়া ও কলেজ নিবন্ধন শাখা। ওই শাখার কর্মকর্তা,কর্মচারীদের সিড়ি দিয়ে উঠানামা করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী জানান, আমাদের চার ও পাঁচতলা ভবন থেকে নিচে গিয়ে ফাইন আনা নেয়া করতে অনেক কষ্ট হয়। এই ভবন থেকে নেবে পুরাতন ভবনের দুই ও তিনতলা থেকে এই ভবনে উঠায় কষ্টের কারন। যদি লিফট থাকতো তাহলে এ কষ্ট হতো না। একই কথা জানান বোর্ডে কাজ করা শ্রমিকরা। তাদের অনেক কাগজ ও মালামাল মাথায় করে সাততলা ভবনে উঠতে হয়। বোর্ডে সাততলা ভবনের কলেজ,বিদ্যালয় শাখায় কাজে আসা শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে সিড়ি দিয়ে উঠতে ও নামতে হয়। উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান আরো জানান ১৯ বছর আগে যশোর দুটি লিফট স্থাপন করা হয়। একটি বোর্ডে ও আরেকটি ম্যাগপাই হোটেলে। এখন লিফটের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। নতুন লিফট স্থাপন করা দরকার। এ ব্যাপারে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে লিফট পরিবর্তন করে নতুন লিফট লাগানো হবে। তবে কত টাকা ব্যয় হবে সেটা এখন বলা যাচ্ছেনা। প্রকল্প গ্রহন করার পর বলা যাবে।