যশোরে ইতিহাস-ঐতিহ্যে রক্ষার দাবিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৬ মার্চ , ২০২৪ ১৪:০০ আপডেট: ৬ মার্চ , ২০২৪ ১৪:০০ পিএম
যশোরে ইতিহাস-ঐতিহ্যে রক্ষার দাবিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
জনউদ্যোগ যশোরের উদ্যোগে আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার, বিকাল সাড়ে ৪ টায় যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল ঐতিহ্য রক্ষার দাবিতে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জনউদ্যোগ যশোরের উদ্যোগে আজ ৫ মার্চ  মঙ্গলবার, বিকাল সাড়ে ৪ টায় যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবনসহ সকল ঐতিহ্য রক্ষার দাবিতে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জনউদ্যোগ যশোরের আহবায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক প্রবীন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌল্লাহ ও সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান বুলু, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, যশোর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন জনউদ্যোগ সদস্য অধ্যাপক সুরাইয়া শরীফ, আইইডি যশোর কেন্দ্রের ব্যব¯’াপক বীথিকা সরকার , জনউদ্যোগ সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল।

আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন যশোর জেলা পরিষদ ভবনটি যুক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। ১৯১৩ সালে ভবনটি নির্মিত হয়। ২০১৯ সালে জেলা পরিষদ ভবনটি একবার ভাঙ্গার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় যশোরবাসীর আন্দোলনের মুখে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়। আমাদের আশ^স্ত করা হয় এই বলে যে, ভবনটি থাকবে। কিš‘ ঘাপটি মেরে থাকা একটি পক্ষ ব্যবসাসিক স্বার্থে সুকৌশলে পাঁচ বছরের মাথায় এসে ফের ভনটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা যশোরবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা মনে করি এটি ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী সর্বনাশী সিদ্ধান্ত। জেলা পরিষদ ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল নকসা অপরিবর্তিত রেখে সংষ্কার করে ভব্যিষৎ প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে আমরা  মনে করি। যশোরের ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা জেলা পরিষদ ভবন, পরিত্যাক্ত রেজিস্ট্রি অফিস ভবন, জজকোর্ট ভবন, পৌর সভার জলকল, পুলিশ সুপারের ভবন রক্ষা এবং সংরক্ষনের দাবি জানানো হয়। তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক  ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের জোর দাবি জানানো হয়।

যশোরের ঐতিহ্য রক্ষার দাবিতে আলোচনা শেষে  শিল্পীরা নাটক ও সংগীতের মাধ্যমে যশোরে ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo